শনিবার রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপি নেতারা বলছেন, বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্ব নিয়ে দলে কোনো সঙ্কট নেই। এ নিয়ে আমরা কিছু বলতে চাই না। তবে দলীয় নেতৃত্ব নিয়ে ঘটা করে সঙ্কট নেই বলায় মনে হচ্ছে ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়’।”
“নেতারা পদপদবী রক্ষায় স্বীকার না করলেও ইতোমধ্যে বিএনপির কর্মী, সমর্থকরা এবং বুদ্ধিজীবীরাও এ নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। বিএনপির সর্বপর্যায়ের কিছু নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদানের ব্যাপারেও তলে তলে যোগাযোগ করছে।”
দেশে এক-এগারোর ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে বলে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আসলে বিএনপি নিজেরাই ষড়যন্ত্রকারী বলে সর্বত্র ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পায়। ষড়যন্ত্র যদি কেউ করে তাহলে তা বিএনপিই করেছে।
“বিএনপি আবারও দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে এক-এগারো ঘটানোর যে রঙিন খোয়াব দেখছে তা দুঃস্বপ্ন মাত্র।”
বিএনপি নেতাদের আন্দোলনের হুমকি নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “করোনা মহামারীর এ প্রেক্ষাপটে মানুষের সুরক্ষা যখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার তখন বিএনপি আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে।
“আসলে জনগণের মনের ভাষা ও মাঠের পরিস্থিতি বোঝার অক্ষমতায় ক্রমশ মানুষের প্রত্যাশা থেকে ছিটকে পড়ছে। মুখে বললেও তারা কখনো জনগণের অধিকার দেয়নি।”
মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে আন্দোলনের ভাবনাকে ‘জনবিচ্ছিন্ন ও অদূরদর্শী’ রাজনৈতিক ভাবনা অভিহিত করে তিনি বলেন, “ভরা বর্ষায় বিএনপির এসব হাঁক-ডাক করোনায় মানুষের পাশে না দাঁড়ানোর ব্যর্থতা আড়াল করার অপচেষ্টা।"
গত দুই দিনের ‘লকডাউনে’ যারা সরকার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করেছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছেন তাদের এসময় আন্তরিক ধন্যবাদ জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শতবর্ষ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থী ওবায়দুল কাদের বলেন, “বাংলাদেশের আন্দোলন-সংগ্রামের সূতিকাগার হচ্ছে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
“প্রতিষ্ঠানের যে গৌরবের ইতিহাস বর্তমানে তা কিছুটা ফিকে হয়ে গেছে তা অস্বীকার করা উপায় নেই। অতীতে পড়াশোনার জন্য যে খ্যাতি অর্জন করেছিল, তা এখন কমে গেছে। গবেষনায়ও পিছিয়ে। আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়েও পিছিয়ে গেছে।”