মঙ্গলবার এক বিবৃতি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক এই সংগঠনটি সরকারের ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
রোববার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য টাস্ক ফোর্সের সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন জানান, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ভ্যান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে; একইসঙ্গে ইজিবাইকও নিয়ন্ত্রণ করা হবে, যা ক্রমান্বয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
“করোনার মধ্যেও রোগী, ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, অক্সিজেন সিলিন্ডার, টিকা, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম পরিবহনেও যন্ত্রচালিত রিক্সা ও ভ্যান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বিভিন্ন নির্বাচনে ব্যালট পেপার, ইভিএম মেশিন বহনেও যন্ত্রচালিত রিক্সা ও ভ্যানের ব্যবহার দেখা গিয়েছে।”
বিবৃতিতে বলা হয়, “স্থানীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত যন্ত্রচালিত রিক্সা ও ভ্যান তথা এলাকাভেদে চালু নসিমন, করিমন, ভটভটি, আলমসাধু নামের যানবাহনে যান্ত্রিক ত্রুটি থাকলে সরকারের উচিত কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান এবং যন্ত্রচালিত রিক্সা ও ভ্যানের লাইসেন্স প্রদান করা। সেটা না করে কায়েমি স্বার্থের চাপে যন্ত্রচালিত রিক্সা ও ভ্যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া দেশের অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় ব্যাপক নেতিবাচক ফলাফল তৈরি করবে।”
বিবৃতিতে তারা অবিলম্বে যন্ত্রচালিত রিক্সা ও ভ্যান চলাচলে আরোপিত ‘অবাস্তব ও আত্মঘাতি’ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানান।