বিএনপি নেতার কাছে খালেদা জিয়ার চেয়ে চিত্রনায়িকা গুরুত্বপূর্ণ: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের কাছে তার দলের নেতা খালেদা জিয়ার চেয়েও চিত্রনায়িকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 June 2021, 12:36 PM
Updated : 21 June 2021, 12:36 PM

সোমবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

চিত্রনায়িকা পরীমনি যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা অভিযোগ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ১৪ জুন সংসদে দাবি জানান বিএনপির সদস্য হারুনুর রশীদ।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বিএনপির দলীয় গ্রপের নেতাকে দেখলাম, বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে সংসদে বক্তব্য রেখেছেন। আমার কাছে মনে হল, তার কাছে বেগম খালেদা জিয়ার চেয়েও ওই চিত্রনায়িকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেছেন। সেজন্য এটা নিয়ে তিনি সংসদে বেশ কয়েকদিন বক্তব্য রেখেছেন।“

প্রথমে ফেইসবুকে এবং পরে বনানীতে নিজের বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে পরীমনি অভিযোগ করেন, গত ৮ জুন রাতে অমি তাকে তুরাগ নদীর তীরে ঢাকা বোট ক্লাবে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে নাসির উদ্দিন মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ী তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিলেন।

পরে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে পরীমনি সাভার থানায় একটি মামলা করেন।

নাসির মাহমুদ ঢাকা বোট ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ক্লাবটির কার্যনির্বাহী কমিটিরও সদস্য ছিলেন তিনি। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে বহিষ্কার করা হয়।

নায়িকা পরীমনির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “ঢাকা শহরের কোথায় কে গিয়ে মধ্যরাতে মদ্যপান করল, আর সেখানে মদ্যপান করে ভাঙচুর হলো; সেই ভাঙচুরের প্রেক্ষিতে সেখানে কিছু ঘটনা ঘটল। এটি কি জাতির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।”

“কে কোথায় মধ্যরাতে মদ্যপান করে কোন ঘটনা ঘটালো, সেটি নিয়ে যেভাবে সবাই মত্ত হয়ে গেল। বিষয়টি কি জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল? এটি একটি বাজে বিষয়। আমি এটি নিয়ে মন্তব্য করতে চাইনা। কেউ হেনস্থা হলে সেটি যেমন ঠিক নয়, তেমনি কেউ অহেতুক হয়রানি হওয়াও ঠিক নয়।”

সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে একটি গোষ্ঠী অপপ্রচার চালাচ্ছে অভিযোগ করে হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপি ও তার মিত্ররা এসব অপচেষ্টা চালায়। আবার বাংলাদেশে কিছু ব্যক্তি আছে, যারা মনে করেন তারা মহাজ্ঞানী এবং যখন নিজেরা মনে করেন তারা মহাজ্ঞানী অপরের ভুল না ধরলে তিনি যে জ্ঞানী সেটি প্রমাণ করার সুযোগ হয় না। সেজন্য সব বিষয়ে ভুল ধরার জন্য কিছু ব্যক্তিবর্গ আছে।”

“আবার কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা দেশের কোন অগ্রগতি নিয়ে প্রশংসা দেখতে পায় না। শুধুমাত্র দেশের সমালোচনাতেই ব্যস্ত। এই প্রতিষ্ঠানগুলো অবশ্যই দরকার আছে। তারা কোন জায়গায় কোন কিছুর ব্যত্যয় হলে সমালোচনা করবে। কিন্তু একই সাথে দেশের কোন অগ্রগতি, অর্জন হলে সেটির প্রশংসা করাও দায়িত্ব, এরা এগুলো করছে না। এগুলোর সাথে কিছু কিছু কাগজেও এদের কথাগুলো ফলাও করে প্রচার করা হয়। সুতরাং এদেরকে সবাই চেনে।”

বর্তমানে বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশ থেকে ঋণ চাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “অর্থনৈতিক বিভাগ এটি নিয়ে কাজ করছে। আফ্রিকার দুই-একটি দেশে এই তালিকায় রয়েছে। এগুলো এখনও প্রক্রিয়াধীন।”