এ্রভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিতসাধীন খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে ফখরুল ওই দাবির কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “আপনারা জানেন, করোনা হওয়ার পরে তাকে (খালেদা জিয়া) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। আল্লাহর রহমতে কোভিডের যে আক্রমণ, সেখান থেকে তিনি বেরিয়ে এসেছেন। কিন্তু দীর্ঘ ৪ বছর তার চিকিৎসা না হওয়ার কারণে, কারাগারে রাখার কারণে তিনি অনেকগুলো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
“তার মধ্যে প্রথম হল তার হার্টে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তার কিডনিতে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তার লিভারে সমস্যা তৈরি হয়েছে এবং তার একটা পুরনো অসুখ, যেটা তাকে অত্যন্ত কষ্ট দেয়- আর্থ্রাইটিসও রয়েছে। এই সবগুলো মিলিয়ে উনি অত্যন্ত অসুস্থ আছেন। ডাক্তাররা বলছেন, তিনি অত্যন্ত ভালনারেবল আছেন।”
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৭ এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। এর মধ্যে তিনি ভাইরাস থেকে মুক্ত হলেও অন্যান্য জটিলতার কারণে এখনও তাকে সেখানে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর মধ্যে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে চেয়েছিল তার পরিবার। কিন্তু দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত খালেদা সরকারের নির্বাহী আদেশে বিশেষ শর্তে মুক্ত থাকায় তার বিদেশে যাওয়ার ‘আইনি সুযোগ নেই’ বলে সরকার জানিয়ে দিয়েছে।
সে প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে’ খালেদাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি।
“সরকারকে আহ্বান জানাব, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে এই মহান নেত্রীকে, যিনি গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং দেশকে উন্নত করার জন্য তার বহু অবদান রয়েছে, সেই নেত্রীর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক, তাকে মুক্তি দেওয়া হোক।”
খালেদা জিয়ার আশু আরোগ্য কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়াও চান বিএনপি মহাসচিব।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের বেরাইদ এলাকায় বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মহানগর উত্তরের সিনিয়র সহসভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আনজুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এএফএম আবদুল আলীম নকির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সহ-সম্পাদক রওনাকুল ইসলাম টিপু, যুবদলের উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর, মহানগর উত্তরের এজিএম শামসুল হক, তুহিরুল ইসলাম তুহিন, এবিএমএ আবদুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।