বৃহস্পতিবার সংসদে ২০২১-২৩২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি নাসির উদ্দিন মাহমুদের মুক্তির দাবি করেন।
আবাসন ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দেওয়া নাসির জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য। উত্তরা ক্লাবের এই সাবেক সভাপতি ঢাকা বোট ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। পরীমনির মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে বোট ক্লাব থেকে বহিষ্কার করা হয়।
জাতীয় পার্টির আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য টিপু সংসদে বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে একজন চিত্রনায়িকা ও আমাদের প্রেসিডিয়াম সদস্যকে নিয়ে ঘটনা দেখছি। নাসির উদ্দিনকে আমি প্রায় ৩৫ বছর ধরে চিনি। প্রায় ছাত্র অব্স্থা থেকে। সে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং সরকারকে খাজনা দেয়।”
“তাদের এই সমস্ত দিকে লক্ষ্য রেখে আমি সরকারের কাছে আবেদন রাখব, আইন আইনের মত চলবে। অবিলম্বে নাসির মাহমুদকে যাতে এই ইসের থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আইন চলবে, তাকে যেন মুক্তি দেওয়া হয়।”
পরীমনি অভিযোগ করেছেন, গত ৮ জুন উত্তরার কাছের বিরুলিয়ায় ঢাকা বোট ক্লাবে তাকে ‘ধর্ষণের চেষ্টা’ করেন নাসির। তখন তাকে মারধরও করা হয়।
তবে এই অভিনেত্রীর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নাসির। তিনি বলছেন, ক্লাবে সেদিন পরীমনি ‘জোর করে দামি মদ নিতে গেলে’ বাধা দিয়েছিলেন তিনি, তাতে এই অভিনেত্রী উত্তেজিত হয়ে তাকে ‘আক্রমণ’ করেন। পরে নিরাপত্তা রক্ষীরা এসে তাকে বের করে দেয়।
পরীমনির অভযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সংসদে বিএনপির এমপি হারুনুর রশীদ দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলেন।
এরপর মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য চুন্নু দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসিরকে ‘ভালো লোক’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
আর বৃহস্পতিবার পার্টির সাংসদ টিপু সংসদে বলেন, “আপনারা জানেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখলাম, ওই নায়িকা গুলশানে একটি ক্লাবে কতগুলি চেয়ার ভাঙছে, প্লেট ভাঙছে, পেপার ওয়েট ভাঙছে। ছবিতে দেখলাম সে যত উপরে পা তুলে একজনকে আঘাত করল! বঙ্গ ললনা নারীরা শতকরা ৯৮ জনই এটা করতে পারবে না। এই ব্যাপারটা অত্যন্ত স্পর্শকাতর। সরকরের কাছে আশা করব যাতে ব্যাপারটা ঠিকমত দেখে।
টিকটক বন্ধে আইন করার দাবি জানিয়ে সাংসদ টিপু বলেন, “যুব সমাজ এই টিকটক দিয়ে বেহায়াপনা করছে। আমরা ঢাকার বাইরে গেলেও দেখি। কিছু বলতে পারি না। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। এটা আইন করে ব্যান করা উচিত।”