মঙ্গলবার সোহরাওয়ার্দী উদ্দ্যানের কালিমন্দিরে আওয়ামী লীগ বন ও পরিবেশ উপকমিটির আয়োজনে বর্ষার মৌসুমের শুরুতে ‘চার মাসব্যাপী চারারোপন ও পরিচর্যার’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুয়েকটি গাছ কাটা হয়েছিল সেটা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, প্রশ্ন তুলতেই পারেন। কিন্তু তার চেয়ে বহুগুণে বেশি গাছ আমরা এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাগিয়েছি সেটা কেউ দেখছে না। আজকেও আমরা এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকেই বেছে নিয়েছি গাছ লাগানোর জন্যই।
“এই উদ্যান এমন ছিল না। এই উদ্যানে গাছ লাগিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু, এই উদ্যানে গাছ লাগিয়ে আরও দৃষ্টিনন্দন করেছেন আমাদের বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। অথচ এই উদ্যানে গাছ কেটে শিশু পার্ক নির্মাণ করা হয়েছিল।”
হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান যখন রাষ্ট্রক্ষমতায়, তখন বাংলাদেশে একটি অদ্ভূত তৎপরতা চালু করেছিল, সেটা হচ্ছে কারফিউ। ঢাকা, চট্টগ্রামে বছরের পর বছর কারফিউ।
“ঢাকার রাস্তার দুই পাশে গাছপালা ছিল, সেই গাছপালাগুলো জিয়াউর রহমান সব কেটে ফেলেছেন। জিয়াউর রহমানকে নাকি, কেউ একজন বলেছিল গাছের ফাঁক দিয়ে আপনাকে গুলি করতে পারে। সে জন্য সব গাছ কেটে ফেলেছে।
বন ও পরিবেশ উপ কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, “বর্ষার মৌসুমের শুরুতে আষাড়ের প্রথম দিনে ‘চার মাস ব্যাপি চারারোপন ও পরিচর্যার’ কাজ শুরু করছি। বৃক্ষরোপনের শ্রী বৃদ্ধি করার জন্য আজকের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
“আমরা এই চার মাসব্যাপী কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সারা দেশে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি পালন করব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া টার্গে আমরা ফিলাপ করব।”