মঙ্গলবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “আমার বার বার একটা কথা মনে হয়, এদেশ সম্ভবত আওয়ামী লীগ চালাচ্ছে না। একটা পুতুল সরকার এদেশে বসা আছে। তারাই চালাচ্ছে।
“কারো নির্দেশ মত কোনো গোষ্ঠী, কোনো প্রতিষ্ঠান, কোনো সংস্থা কিংবা সবাই একত্রিতভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে নিজেদের গা বাঁচানোর জন্য এই আওয়ামী লীগ নামক পুতুলটিকে টিকিয়ে রেখেছে।”
সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা ‘হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন’ অভিযোগ করে আব্বাস বলেন, “এমন কোনো সংস্থা নাই, এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নাই, এমন কোনো ব্যক্তি নাই যারা চুরি-ডাকাতি-লুট করে নাই।
“…. আমি বলতে চাই ওদেরও বিচার হবে। এত খুন, এত লুট, এত গুম- এরও বিচার হবে। যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকে, তাদের বিচার হবে। সে সমস্ত বিচারের ভয়ে আজকে একটা গোষ্ঠী এই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে।”
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বাংলাদেশ নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে সংগঠনটির সদস্য সচিব নিপুণ রায় চৌধুরীর মুক্তির দাবিতে এই প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।
রাজধানীর রায়েরবাজার এলাকা থেকে গত ২৮ মার্চ নিপুণ রায়কে আটক করা হয়। পরে হাজারীবাগ ও যাত্রাবাড়ী থানার নাশকতার মামলা তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
মির্জা আব্বাস বলেন, “একদিন এদেশের মানুষ রাস্তায় নামবে এবং এই সরকারের তখতে তাউস টুকরো টুকরেো হয়ে যাবে। নিপুণ রায় চৌধুরীর মত হাজার লক্ষ কর্মী মুক্তি পাবে।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, “নিপুণ রায় চৌধুরীর একটা ছোট্ট মেয়ে আছে। সেই মেয়ের কাছ থেকে তার মাকে দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্ন করে রাখা, এটা খুব বিশাল অমানবিক রাজনীতি।”
সংগঠনের সদস্য মীর সরাফত আলী সপুর সভাপতিত্বে ও আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শিরিন সুলতানা, আজিজুল বারী হেলাল, আফরোজা আব্বাস, আবদুস সালাম আজাদ, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, খন্দকার আবু আশফাক, বিলকিস ইসলাম, ফরিদা ইয়াসমীন, আবদুর রহিম, আরিফা সুলতানা রুমাসহ অন্যান্যা নেতারা বক্তব্য দেন।