নাসির ‘ভালো লোক’: সংসদে বললেন জাপা এমপি চুন্নু

ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে চিত্রনায়িকা পরীমনির করা মামলার প্রধান আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদের পক্ষে সংসদে সাফাই গাইলেন জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 June 2021, 08:29 AM
Updated : 15 June 2021, 08:29 AM

মঙ্গলবার সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে চুন্নু তার দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসিরকে ‘ভালো লোক’ হিসেবে বর্ণনা করেন।

সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী চুন্নু বলেন, “গতকাল সংসদে একজন মাননীয় সদস্য নায়িকা পরীমনির জন্য বিচার চেয়েছেন। একজন গ্রেপ্তার হয়েছে। আমি তাকে চিনি। উত্তরা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ছিল। সেই লোকটি জাতীয় পার্টি করে। তিনি ভালো লোক।”

“মিডিয়ার কারণে তাকে… মিডিয়াকে অনুরোধ করব… মিডিয়ার কারণে অনেক সময় ভালো লোক… আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী…।”

এই পর্যায়ে চুন্নুর জন্য নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ায় তার মাইক বন্ধ হয়ে যায়।

আবাসন ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দেওয়া নাসির জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য।

পরীমনি অভিযোগ করেছেন, গত ৮ জুন উত্তরার কাছের বিরুলিয়ায় ঢাকা বোট ক্লাবে তাকে ‘ধর্ষণের চেষ্টা’ করেন নাসির। তখন তাকে মারধরও করা হয়।

তবে এই অভিনেত্রীর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নাসির। তিনি বলছেন, ক্লাবে সেদিন পরীমনি ‘জোর করে দামি মদ নিতে গেলে’ বাধা দিয়েছিলেন তিনি, তাতে এই অভিনেত্রী উত্তেজিত হয়ে তাকে ‘আক্রমণ’ করেছিলেন। পরে নিরাপত্তা রক্ষীরা এসে তাকে বের করে দেয়।

নাসির মাহমুদ ঢাকা বোট ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ক্লাবটির কার্যনির্বাহী কমিটিরও সদস্য ছিলেন তিনি। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে বহিষ্কার করা হয়।

সোমবার সংসদে বিএনপির হারুনুর রশীদ পরীমনির অভযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেওয়ার দাবি তোলেন।

সম্পদের হিসাব

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু এদিন সংসদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘খাপছাড়া’ কবিতা আবৃত্তি করে বলেন, “অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা অনেক বড়। বাসায় বসে পড়েছি। আগামাথা পাইনি।”

অর্থমন্ত্রী এর আগে সংসদে দাঁড়িয়ে বিদেশে টাকা পাচারকারীদের নাম চাওয়ায় তাকে উদ্দেশ করে চুন্নু বলেন, “নাম আপনি বের করুন। আমরা কী অর্থ মন্ত্রণারয়েল দায়িত্বে যে নাম বের করব? এত ফিরিস্ত দিলেন। আপনার গোয়েন্দা আছে, আরও কত সংস্থা আছে। আপনি বের করুন। মিডিয়ায় দেখেছি এই সংসদের একজন এমপির স্ত্রী কানাডার বাড়িতে হেঁটে বেড়াচ্ছেন।

“বিএনপির হারুন সাহেব বলেছেন দুদক কেন আমাদের সম্পদের খোঁজ নিচ্ছে না। এলাকায় গেলে লোকে বলে পাঁচ লাখ টাকা দেন, অত টাকা। যদি বলি এত টাকা কোথায় পাব? বলে, এমপি-মন্ত্রীদের টাকার অভাব আছে নাকি?

“আমাদের সম্পদের খোঁজ নিন। সাথে সামরিক-বেসামরিক আমলা-ব্যবসায়ীদের সম্পদের হিসাব নেন। আমরাও দেব। নির্বাচনের সময় আমলনামায় যে হিসাব দিয়েছিলাম, তার থেকে বেশি যদি পাওয়া যায় আমি ফেরত দেব। নিয়ে যাক।  আমরা যারা প্রশসানিক দায়িত্বে আছি, আমাদের সম্পদের হিসাব নেওয়া হোক।”