বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অভিনয় ও মডেল শিল্পীদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তথ্যমন্ত্রী এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন।
একজন সাংবাদিক মন্ত্রীকে বলেছেন, সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তার নাম বিকৃত করে ‘হাছা মাহমুদ’ বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া কী।
উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “কোনো ভদ্রলোকের আরেকজন মানুষের নাম বিকৃত করে বলা অনুচিত। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে তো ভদ্রলোক বলেই জানতাম। তিনি কেন হঠাৎ করে নাম বিকৃত করে বলা শুরু করলেন বুঝতে পারছি না।
“সম্ভবত তারাতো তাদের রাজনীতি নিয়ে প্রচণ্ড হতাশ। সে হতাশা থেকে কখন কী বলে বসছে, খেই হারিয়ে ফেলেছে।”
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ‘অবলীলায় মিথ্যা কথা বলেন’ অভিযোগ করে হাছান মাহমুদ বলেন, “এজন্য অনেকে মিথ্যা ফখরুল বলেন। আমি এটা বলতে চাই না। কারণ কারো নাম বিকৃত করা সমীচীন নয়।”
বিএনপি নেতাদের ‘সরকার হঠানোর হুমকি’ নিয়ে আরেক প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “এ রকম হুমকি তো আমরা ১২ বছর ধরে শুনে আসছি। ১২ বছর ধরে হুমকি দিতে দিতে তারা ছোট হয়ে আসছেন। তাদের আঙ্গিনাটা ক্রমাগত ছোট হয়ে যাচ্ছে।”
বিদেশি শিল্পীদের নিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরিতে ফি বেঁধে দেওয়ায় বৈঠকে তথ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান চলচ্চিত্র শিল্পীরা।
চলচ্চিত্র শিল্পীদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “অন্য দেশের দ্বিতীয় ও তৃতীয় গ্রেডের শিল্পীদের দিয়ে প্রচুর বিজ্ঞাপন বানানো হয়। সেজন্য আমরা আমাদের শিল্পীদের সুরক্ষা দিতে চেয়েছি।”
গত ৬ জুন তথ্যমন্ত্রী জানান, বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপন বানানো হলে প্রত্যেক শিল্পীর জন্য নির্মাতাদের দুই লাখ টাকা করে ফি দিতে হবে। যে টেলিভিশন সেই বিজ্ঞাপন দেখাবে তাদের এককালীন ২০ হাজার টাকা দিতে হবে।
অভিনয় ও মডেল শিল্পীদের সঙ্গে বৈঠকে এ তথ্য আবারও তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, “আমাদের দেশের শিল্পীদের বিদেশে গিয়ে বিজ্ঞাপনচিত্র বানানোর মত ট্যালেন্ট আছে।”