বুধবার এক বিবৃতিতে সংসদের বিরোধী দলীয় এই উপনেতা বলেন, “দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর আল আকসা মসজিদে হামলা, শেখ জাররাহ পাড়ায় ফিলিস্তিনি পরিবারদের উচ্ছেদ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
এ ধরনের ‘সন্ত্রাসী আক্রমণ’ বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নিতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান তিনি।
জেরুজালেমে ইহুদি বসতি স্থাপন করা এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করা হতে পারে-এমন আশঙ্কায় চলতি সপ্তাহের শুরুতে উত্তেজনা তৈরি হয়। এর জেরে ফিলিস্তিনি তরুণদের সঙ্গে শুরু হয় ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষ।
ইসরায়েলের ‘জেরুজালেম দিবসকে’ কেন্দ্র করে সেই উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনি স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান থেকে গোলা ছুড়ছে, অন্যদিকে ফিলিস্তিনের হামাস যোদ্ধারা রকেট হামলা করে পাল্টা জবাব দিচ্ছে।
দুই পক্ষের এই সংঘর্ষের ঘটনায় কয়েক ডজন মানুষ ইতোমধ্যে নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই ফিলিস্তিনি। ২০১৪ সালে গাজা যুদ্ধের পর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় সংঘাত।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বিবৃতিতে বলেন, “গত কয়েক দিন ধরে মুসল্লিদের ওপর হামলা, মসজিদ কম্পাউন্ড ঘেরাও করে মুসল্লিদের ওপর রাবার কোটেড বুলেট, টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড বোমা নিক্ষেপ করে পৈশাচিকতার পরিচয় দিয়েছে।”
তিনি বলেন, “জাতিসংঘের রেজুলেশন অনুযায়ী, ফিলিস্তিনীদের স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের অধিকার রয়েছে। ফিলিস্তিন ইস্যুতে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে।
তিন ধর্মের মানুষের কাছে পবিত্র স্থান জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদ এ রমজান মাসের বড় একটি সময় ধরেই ছিল সহিংসতার কেন্দ্রস্থল।
পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের কিছু বাড়িঘর নিজেদের দাবি করে ইহুদি বসতিস্থাপনকারীরা আদালতে যাওয়ার পর উচ্ছেদের সম্ভাবনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আদালত ওই মামলার শুনানি স্থগিত রেখেছে।