আল-আকসায় সহিংসতার তীব্র নিন্দা রওশনের

আল-আকসা মসজিদ এলাকায় সহিংসতা এবং পশ্চিম তীর ও গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 May 2021, 01:10 PM
Updated : 12 May 2021, 01:10 PM

বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “কয়েকদিন ধরে মুসল্লিদের ওপর হামলার পর আল-আকসা মসজিদ কম্পাউন্ডে অভিযান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। যা মানবাধিকার, মানবিক মানদণ্ড এবং আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।”

জেরুজালেমে ইহুদি বসতি স্থাপন করা এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করা হতে পারে- এমন আশঙ্কা থেকে চলতি সপ্তাহের শুরুতে ফিলিস্তিনি তরুণদের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়।

ইসরায়েলের ‘জেরুজালেম দিবসকে’ কেন্দ্র করে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনি স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান থেকে গোলা ছুড়ছে, অন্যদিকে ফিলিস্তিনের হামাস যোদ্ধারা রকেট হামলা করে পাল্টা জবাব দিচ্ছে।

দুই পক্ষের এই সংঘর্ষের ঘটনায় কয়েক ডজন মানুষ ইতোমধ্যে নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই ফিলিস্তিনি। ২০১৪ সালে গাজা যুদ্ধের পর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় সংঘাত।

বিরোধীদলীয় নেতা রওশন বলেন, “জাতিসংঘের রেজুলেশন অনুযায়ী ফিলিস্তিনিদের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের অধিকার থাকলেও উপাসনার সময় রাষ্ট্রীয় কোনো বাহিনীর এভাবে হামলার নজির কেবল ইসরায়েলেই সম্ভব।

“ইসরায়েলের সাম্প্রদায়িক সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও গুরুত্বপূর্ণ ও শক্তিশালী ভূমিকা নিতে হবে।”

তিন ধর্মের মানুষের কাছে পবিত্র স্থান জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদ এ রমজান মাসের বড় একটি সময় ধরেই ছিল সহিংসতার কেন্দ্রস্থল।

পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের কিছু বাড়িঘর নিজেদের দাবি করে ইহুদি বসতিস্থাপনকারীরা আদালতে যাওয়ার পর উচ্ছেদের সম্ভাবনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আদালত ওই মামলার শুনানি স্থগিত রেখেছে।