খালেদা অবস্থার ‘কিছুটা উন্নতি’: ফখরুল

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ‘কিছুটা উন্নতির’তথ্য দিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 May 2021, 11:20 AM
Updated : 12 May 2021, 11:20 AM

বুধবার দুপুরে বনানীর বাসায় দলের ‘নিখোঁজ’ নেতা এম ইলিয়াস আলীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে আসার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব একথা জানান।

আগের দিন মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও ‘ক্রিটিক্যাল’ ছিল বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

বুধবার মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ম্যাডামের অবস্থা একই রকম আছে। গতকাল আমি যেটা বলেছিলাম...। বরঞ্চ একটু ইম্প্রুভ করেছে। সি ইজ ইম্প্রুভিং।"

বসুন্ধরার এয়ারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৭ এপ্রিল থেকে চিকিৎসাধীন আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বর্তমানে করোনারী কেয়ার ইউনিটে রয়েছেন।

হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে তার চিকিৎসা চলছে।

এর মধ্যে খালেদাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলেও তা নাকচ করে দেয় সরকার।

মঙ্গলবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেছিলেন, ‘‘এখনো ক্রিটিক্যাল কন্ডিশন তার। যদিও আল্লাহর রহমতে অনেক ইম্প্রুভ করেছেন। এখন তিনি রুম এয়ারে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছেন অর্থাত রুমের মধ্যে তার অক্সিজেন লাগছে না।”

“তার প্রেসার, টেম্পারেচার, অক্সিজেন যেটাকে স্যাচুরেশন বলে এগুলো এখন আপাততভাবে কিছুটা নরম্যালের দিকে চলে এসেছে।”

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরার পর গত ১১ এপ্রিল থেকে গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নেন খালেদা জিয়া।

এরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৭ এপ্রিল রাতে তাকে এভারকেয়ার হাসপপাতালে নেওয়া হয়। চেস্টের সিটি স্ক্যান ও কয়েকটি পরীক্ষার পর সেই রাতেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে নেওয়া হয়।

দুর্নীতির দুই মামলণায় দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে কারাগার যেতে হয় ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়; শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়।

তখন থেকে তিনি গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছেন।