সোমবার এক ভিডিওবার্তায় জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, “দেশের মানুষ জানতে চায় কার স্বার্থে চার মাস অতিবাহিত হলেও বঙ্গভ্যাক্সের ট্রায়াল হচ্ছে না। করোনা প্রতিরোধে বিদেশি টিকা আমদানির পাশাপাশি দেশে তৈরি টিকা বঙ্গভ্যাক্সের সফলতার জন্য সরকারিভাবে সহায়তা দিতে হবে।”
গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলে (বিএমআরসি) আবেদন জমা দিয়েছিল গ্লোব। পরে বিএমআরসির চাহিদা অনুযায়ী তথ্য-উপাত্ত যোগ করে ফেব্রুয়ারিতে সংশোধিত আবেদন জমা দেওয়া হয়।
দেশে করোনাভাইরাসের মহামারী শুরুর পর গত বছর ২ জুলাই ওষুধ প্রস্ততকারী গ্লোব ফার্মার সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক ‘বঙ্গভ্যাক্স’ নামে এই টিকা তৈরির কাজ শুরুর কথা জানায়।
৬ থেকে ৭ মাসের মধ্যে এই টিকা বাজারে আনার যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেছিল তারা। তবে এখনও মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের নীতিগত অনুমোদন দেয়নি বিএমআরসি
বিবৃতিতে সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা কাদের বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গ্লোব বায়োটেকের টিকাকে তালিকাভুক্ত করেছে। কিন্তু বিএমআরসি ‘অজ্ঞাত কারণে’ ট্রায়ালের অনুমতি দিচ্ছে না।
“ভ্যাকসিনটির অ্যানিম্যাল ট্রায়ালে এক ডোজেই কার্যকর অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালেও অনুরূপ ফলাফলের আশা করছেন গবেষকরা। এক ডোজের টিকা বঙ্গভ্যাক্স সিন্থেটিক্যালি তৈরি হওয়ায় তা ভাইরাস মুক্ত এবং শতভাগ হালাল। তাই বিদেশি টিকা আমদানির পাশাপাশি বঙ্গভ্যাক্স উৎপাদনে সরকারিভাবে সহায়তা করতে হবে।”