রোববার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “আজকে একদিকে চলছে মহামারী, অন্যদিকে লকডাউন। কী ধরনের লকডাউন তাও জানি না। এটা খোলা থাকবে, ওটা খোলা থাকবে না। অর্থাৎ এখানেও স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে।”
কোনো শ্রেণি-গোষ্ঠী যাতে ‘অসন্তুষ্ট’ না হয়, সেটা ঠিক রাখতে গিয়ে সরকার একেক ক্ষেত্রে লকডাউনের একেক রকম নীতি নিয়েছে বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর।
তিনি বলেন, “শ্রমজীবী মানুষ কী করবে? লকডাউনে ঘরে থাকা, স্বাস্থ্যবিধি মানা- এটা প্রয়োজন। কিন্তু যেসব শ্রমজীবী মানুষের কাজ নেই, ঘরে থাকলে না খেয়ে মরবে, তারা তো ঘরে থাকবে না-এটাই স্বাভাবিক।”
দুর্নীতির মাধ্যমে ‘পাহাড়সম টাকা বিদেশে পাচার’ করা হয়েছে অভিযোগ করে এই বিএনপি নেতা সরকারের উদ্দেশে বলেন, “এই টাকাগুলো দেশে আনুন। যত দিন পর্যন্ত করোনাভাইরাস থেকে দেশ মুক্ত না হয়, ততদিন অসহায়-দুঃস্থ মানুষ, শ্রমজীবী মানুষকে মাসোহারা অনুদান দিতে হবে, তাদেরকে বাঁচাতে হবে। মানুষ যদি না বাঁচে, তাহলে দেশ বাঁচবে কী করে?”
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়া মাহফিল ও দুঃস্থ-অসহায়দের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করতে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ’৭১ এর উদ্যোগে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় এ অনুষ্ঠান হয়। পরে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দুঃস্থদের মধ্যে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন।
জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ’৭১ এর সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ ও মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম বক্তব্য দেন।