সরকারি প্রণোদনাতেও ‘দুর্নীতি’: ফখরুল

করোনাভাইরাস মহামারীর ক্ষতি কাটাতে দেওয়া সরকারি প্রণোদনাতেও দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 May 2021, 01:29 PM
Updated : 5 May 2021, 01:29 PM

বুধবার বিকালে করোনাভাইরাস রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা দিতে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের তৈরি অ্যাপ উদ্বোধন উপলক্ষে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ‘‘মহামারীকালে যে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে তাতে জীবিকার প্রশ্ন মানুষের। সেখানেও পুরোপুরিভাবে দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করা হয়েছে। জনগণের জন্য কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি।

“এই সরকার সম্পূর্ণভাবে জনবিচ্ছিন্ন একটি সরকার। যেহেতু তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই, সেজন্য মানুষের জীবন-জীবিকার প্রশ্নেও তাদের কোনো দায়িত্ববোধ নাই।”

করোনাভাইরাস সংক্রমণে সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের এখানে কারোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য সরকারের তরফ থেকে সেই ধরনের কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়নি।

“আমরা কিছুদিন আগে দেখলাম, দুইটা হাসপাতাল উধাও হয়ে গেছে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যে হারে দুর্নীতি হচ্ছে যে, তাতে তারা দুর্নীতির পাহাড় গড়ে তুলেছে। স্বাস্থ্য খাত ভেঙে পড়েছে, চরম ভঙ্গুর একটা স্বাস্থ্যখাত এই সরকার তৈরি করেছে।”

মহামারীর মতো এরকম সংকট গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া মোকাবিলা করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘সেজন্য আমাদের সবচেয়ে বড় যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে- একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা তৈরি করা, গণতান্ত্রিক একটা সরকার তৈরি করা।“

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়াও চান তিনি।

অনুষ্ঠানে ‘জেডআরএফ ট্রিটমেন্ট অ্যাপস’ নামের অ্যাপটি উৎসর্গ করা হয়েছে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রয়াত সভাপতি শফিউল বারী বাবুর স্মরণে।

ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও সৈয়দ ইমতিয়াজ উদ্দিন সাজিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, ছাত্র দলের ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, ডা. আশরাফুল হাসান মানিক প্রমুখ বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আখতার হোসেন, এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক মোরশেদ হাসান খান, ডা. শাহ মুহাম্মদ আমানউল্লাহ, অধ্যাপক আবদুল করীম, অধ্যাপক হারুন আল রশিদ, এএস হায়দার পারভেজ, মীর হেলাল উদ্দিন, যুব দলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া ‍জুয়েল, বিথীকা বিনতে হোসাইন, গোলাম সারোয়ার, সাদরেজ জামানসহ মহানগর বিএনপি, যুব দল, ছাত্র দল ও ড্যাবের সদস্যরা যুক্ত ছিলেন।