নিয়ম না মেনে স্পিডবোটে পদ্মা পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনায় দুই ডজন মানুষের মৃত্যুর কথা মনে করিয়ে দিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছেন তিনি।
বুধবার আওয়ামী লীগের এক ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “লকডাউনে অনেকেই চোরাইপথে আসা যাওয়ার সুযোগ নিচ্ছেন, সম্প্রতি পদ্মায় স্পিডবোট ডুবিতে ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন।”
তিনি বলেন, “সরকারকে ফাঁকি দেওয়া যায় কিন্তু মৃত্যুকে ফাঁকি দেওয়া যায় না। এ ধরনের ঝুঁকি নিলে উৎসবের আগেই মৃত্যুর ট্র্যাজেডি অনিবার্য হয়ে পড়ে, কাজেই এ ধরনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল না করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানাই।”
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের জারি করা লকডাউনের মধ্যে নৌ চলাচলও বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু তা না মেনে গত ৩ মে একটি স্পিডবোট শিমুলিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে কাঁঠালবাড়ী (পুরাতন ফেরিঘাট) ঘাটের কাছে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়লে ২৬ জনের মৃত্যু হয়।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গতবছর রোজার ঈদের সময়ও লকডাউনের নিষেধ ভেঙে পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে, দুর্ঘটনায় মৃত্যুও হয়েছে সে সময়।
বিএনপির সমালোচনা
ঢাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বিএনপি নেতাদেরও সমালোচনা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক কাদের।
তিনি বলেন, "একটা দল (বিএনপি) সরকারের বিরুদ্ধে গলাবাজি করছে, তাদের কোনো কাজ নেই। করোনাভাইরাসের এই দুঃসময়ে তারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে এমন একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেনি, কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তা করে দেখিয়েছে।”
দুর্যোগ দুর্বিপাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিপন্ন মানবতার পাশে দাঁড়িয়ে যে ‘দৃষ্টান্ত’ স্থাপন করছেন, ১৯৭৫ পরবর্তী কোনো সরকার প্রধান বা রাজনৈতিক নেতা তা ‘পারেনি’ বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “তারা একেক সময় একেক আন্দোলনের ওপর ভর করে ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতায় লিপ্ত, তারা করোনার এই সঙ্কটের সময়েও সহিংসতার উসকানি দিচ্ছে।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে দলীয় নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, কিন্তু একটা দল ঢাকায় বসে শুধু লিপ সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে।”
অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রহমান, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির এ সময় উপস্থিত ছিলেন।