মঙ্গলবার রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে উপস্থিতি সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।
অধ্যাপক জাহিদ বলেন, “উনার (খালেদা জিয়া) যে সকল পরীক্ষা গতকালকে করানো হয়ে্ছিল এবং আজকে সকালে করানো হয়েছে, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা সেগুলো রিভিউ করেছেন।
“উনারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার চেস্ট দেখেছেন। কিছু পরিমাণ ট্রিটম্যান্ট কিছু এডজাস্টমেন্ট করেছেন এবং সেই অনুযায়ী উনার চিকিৎসা চলছে।”
সিসিইউতে থাকা খালেদা জিয়াকে দূর থেকে দেখে এসেছেন বলেও জানান ডা. জাহিদ।
“উনি গতকাল যে অবস্থায় ছিলেন, এ্খন সেই অবস্থাতে আছেন।”
গত মঙ্গলবার সকালের দিকে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে চিকিৎসকরা বিকালে বিএনপি চেয়ারপারসনকে সিসিইউতে স্থানান্তর করে।
এভারকেয়ার হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধায়নে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড মঙ্গলবার দুপুরে খালেদা জিয়ার পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো পর্যালোচনা করেন।
গত ২৭ এপ্রিল গুলশানের ওই হাসপাতালে ভর্তির পরদিনই এই মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরার পর গত ১১ এপ্রিল থেকে গুলশানের বাড়িতে থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন খালেদা জিয়া। ১৪ দিন পর আবার পরীক্ষা করা হলে তখনও তার করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ আসে।
এরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৭ এপ্রিল রাতে তাকে এভারকেয়ার হাসপপাতালে নেওয়া হয়। চেস্টের সিটি স্ক্যান ও কয়েকটি পরীক্ষার পর সেই রাতেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে কারাগার যেতে হয়েছিলে ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়; শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়।