কোভিড: রাজবন্দি ও কম সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি দাবি বিএনপির

করোনাভাইরাস মহামারীর দ্বিতীয় টেউয়ে কারাগারে সংক্রমণের ‘প্রবল ঝুঁকি’ থাকায় রাজবন্দি ও লঘুদণ্ডে দণ্ডিতদের অবিলম্বে মুক্তি চেয়েছে বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 April 2021, 05:46 PM
Updated : 29 April 2021, 05:46 PM

বৃহস্পতিবার রাতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান।

তিনি বলেন, “দেশে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এমন পরিস্থিতিতে ধারণক্ষমতার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি বন্দি থাকা কারাগারে স্বাস্থ্যবিধি মানা বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়। যার ফলে কারাগারগুলো করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রবল ঝুঁকিতে আছে। এর মধ্যে বেশ কিছু কারাগারে করোনাভাইরাসে বন্দিদের আক্রান্তের সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে এবং ইতোমধ্যে একজনের মৃত্যু ঘটেছে বলেও সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

“সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, দেশের জেলখানাগুলোতে কোভিড-১৯ মহামারী রোধে অবিলম্বে গুরুতর অপরাধে দণ্ডিত আসামিরা ছাড়া রাজনৈতিক বন্দি ও লঘুদণ্ডে দণ্ডিত অপরাধীদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়া হোক। একই সঙ্গে সম্প্রতি সারাদেশ থেকে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধীদলের যে কয়েক শত নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদেরও মুক্তি দাবি করছি।”

দলের দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, “কারাগারগুলোতে চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থাও অত্যন্ত নাজুক। এমতাবস্থায় বন্দিদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিয়ে বন্দি ও তাদের আত্মীয়-পরিজনরা চরম উদ্বিগ্ন অবস্থায় আছেন। কারাগারে করোনাভাইরাস আরো বিস্তার লাভ করলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।”

“এমতাবস্থায় উচ্চ আদালতের চূড়ান্ত বিচারে চাঞ্চল্যকর মামলায় দোষীরা বাদে রাজনৈতিক কারণে বন্দি ও লঘু অপরাধে কারান্তরীণ বন্দিদের মানবিক বিবেচনায় জামিন দেয়া হলে করোনাভাইরাসের এই ভয়াবহ পরিণতি থেকে বন্দিরা রক্ষা পেতে পারে বলে বাংলাদেশ বিএনপি মনে করে। যেহেতু চূড়ান্ত বিচারের আগে কাউকেই দোষী বলা যায় না, সেহেতু বিনা বিচারে একজন নির্দোষ লোকও যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় তাহলে মৃত মানুষটির জীবন সরকার ফিরিয়ে দিতে পারবে না।”

কারাগারে সংক্রমণ রোধে বিজ্ঞানসম্মত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বন্দিরা যাতে আইনগতভাবে দ্রুত জামিন পেতে পারেন সেজন্য আদালতের বেঞ্চের সংখ্যা বাড়ানোর দাবিও জানান মির্জা ফখরুল।