প্রমাণ হল, টিকার সিদ্ধান্তে ‘ভুল’ ছিল: জিএম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘বিকল্প উৎস না রেখে’ শুধু ভারতের কাছ থেকে টিকা আমদানির সিদ্ধান্ত যে ‘অদূরদর্শী ও ভুল’ ছিল, এখন তা প্রমাণ হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 April 2021, 11:43 AM
Updated : 29 April 2021, 11:43 AM

বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের এ মন্তব্য করেন।

করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় সরকার ১৩ কোটির বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। সেই লক্ষ্যে গত নভেম্বরে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি ডোজ কোভিশিল্ড টিকা আনার চুক্তি হয়।

কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশ এখন অনিশ্চয়তায় পড়েছে।

জিএম কাদের বলেন, “দেশে এখনো কয়েক লাখ মানুষ কোভিশিল্ড এর দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে অস্থিরতার সাথে অপেক্ষা করছেন। এখন প্রমাণ হল, বিকল্প উৎস না রেখে শুধু অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকা আমদানির সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। আন্তর্জাতিক টিকা কূটনীতিতে অদূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছিল বাংলাদেশ।”

দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি গণ টিকাদান শুরুর পর ৮ এপ্রিল দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়। কিন্তু ভারত থেকে টিকার নতুন চালান না আসায় প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

এই সঙ্কট কাটাতে দ্রুত রাশিয়ার ‘স্পুৎনিক-ভি’ এবং চীনা কোম্পানি সিনোফার্মের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ।

বিবৃতিতে জিএম কাদের বলেন, “রাশিয়ার স্পুৎনিক-ভি এবং চীনের সিনোফার্মের ভ্যাকসিন আমদানি ও যৌথ উৎপাদনের পাশাপাশি ভারত থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড আমদানির প্রচেষ্টা থাকতে হবে বাংলাদেশের।”

ভারতের সাথে চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা আসার কথা ছিল। জানুয়ারির প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ, ফেব্রুয়ারিতে ২০ লাখ ডোজ মিলিয়ে ৭০ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। ভারত সরকারের উপহার হিসেবে এসেছে আরও ৩২ লাখ ডোজ টিকা।

ভারতে করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় দেশটি টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশের কেনা বাকি ২ কোটি ৩০ লাখ ডোজ টিকা কবে আসবে, তা এখনও নিশ্চিত না।

সহযোগিতা দেওয়া হলে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়েটেক ‘বঙ্গভ্যাক্স’ টিকা তৈরি করতে পারত মন্তব্য করে জিএম কাদের বলেন, “এ মুহূর্তে দেশীয় উৎস থেকেই টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকত। সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা এখনও নেওয়া যায়। করোনা টিকা নিয়ে সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে কিনা সেটা স্পষ্ট নয়। টিকার বিষয়ে জনগণ বিস্তারিত জানতে চায়।”