তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে একথা জানান।
তিনি বলেন, ‘‘ম্যাডামের সিটি স্ক্যানের (চেস্ট) পাশাপাশি আরো কয়েকটি পরীক্ষা করাতে রাত ৮টার দিকে বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হবে। সেভাবে হাসপাতালে সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
অধ্যাপক জাহিদ জানান, পরীক্ষাগুলো শেষ হওয়ার পর রাতেই গুলশানের বাসায় ফিরে আসবেন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, ‘‘ম্যাডাম করোনা পজেটিভ হলেও তার কোনো উপসর্গ নেই। তার অবস্থা স্থিতিশীল এবং তিনি ভালো আছেন।”
এর আগে গত ১৪ এপ্রিল এভার কেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল খালেদা জিয়াকে। তখন একবার সিটি স্ক্যান (চেস্ট) করা হয়। পরদিন রিপোর্টে ফলাফল ‘নমিনেল’ এসেছে বলে চিকিৎসরা জানিয়েছিলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের করোনা শনাক্ত হয় গত ১১ এপ্রিল। এরপর থেকে তিনি ‘বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন’বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকীরে নেতৃত্বে ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের তত্ত্বাবধায়নে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
১৪ দিন পর ২৪ এপ্রিল আবার খালেদা জিয়ার করোনাভাইরাস টেস্ট করা হলেও ফলাফল পজেটিভ আসে। অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী বলেন, ‘‘তবে ম্যাডামের অবস্থা স্থিতিশীল। কোনো উপগর্গ নেই। উনি ভালো আছেন।”
আগামী ৪/৫ দিন পর তার তৃতীয় দফা করোনা টেস্ট করা হবে বলে জানান তিনি।
ফিরোজা’র বাসায় বিএনপি চেয়ারপারসন ছাড়াও আরো ১৪ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে এখন খালেদা জিয়াসহ চারজন পজেটিভ।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়’ শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়।
তখন থেকে তিনি গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিতৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার সঙ্গে বাইরের কারও যোগাযোগ সীমিত।