রোববার বিকালে এক ভার্চুয়াল স্মরণ সভায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, “জনাব মওদুদ আহমদ আজীবন অর্থাৎ ছাত্র জীবন থেকে শুরু করে শেষ দিন পর্যন্ত সক্রিয়ভাবে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সবচেয়ে বড় জিনিসটা আমার কাছে মনে হয়েছে যে, জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়ে বাংলাদেশে রাজনীতি করেছেন তিনি।
“আইনজীবী হিসেবে, রাজনীতিবিদ হিসেবে এবং সর্বোপরি একজন লেখক এবং গবেষক হিসেবে ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদ অবশ্যই চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। উনি জীবিত থাকবেন তার এলাকার মানুষের কাছে, বাংলাদেশের মানুষের কাছে, বিএনপির কাছে, আমাদের রাজনীতির ইতিহাসে, সংগ্রামে আন্দোলনের ইতিহাসে।’’
সিঙ্গাপুরে যাওয়ার আগে শেষ সাক্ষাতের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, “উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যাওয়ার আগে যখন তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে ছিলেন, সেই সময়ে আমি ও ডা. জাহিদ তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে তিনি তখন মাস্ক নিয়েই আমাকে বলেছিলেন, এবার স্ট্যাডিং কমিটির মিটিংয়ে আমি থাকতে পারব না। ইনশাল্লাহ পরের শনিবারে থাকব।
“ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ পরের মিটিংয়ে আর উপস্থিত হতে পারেননি, সিঙ্গাপুর থেকে তিনি আর ফিরে আসেননি। তিনি আর কোনোদিনই আমাদের সঙ্গে থাকবেন না। তিনি থাকবেন আমাদের হৃদয়ে, আমাদের অন্তরে।”
তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।
গত ১৬ মার্চ সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মওদুদ আহমদ।
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মইন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, জ্যেষ্ঠ নেতা বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, খন্দকার মাহবুবু হোসেন, জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, এজে মোহাম্মদ আলী, মাহবুব উদ্দিন খোকন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দস কাজল ও মওদুদ আহমদের স্ত্রী হাসনা মওদুদ বক্তব্য রাখেন।