তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, তার চেয়ে বরং সরকার তালিকা দিলে তারা নিজেরাই কারাবরণ করবেন।
গত কয়েকদিনে হেফাজতের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীতে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাবুনগরী। বিবৃতিতেটি গণমাধ্যমে পাঠানোর পাশাপাশি সংগঠনটির ফেইসবুক পাতায়ও দেওয়া হয়।
গত মাসের শেষ দিকে নরেন্দ্র মোদীর সফর ঘিরে হেফাজতের বিক্ষোভ ও হরতাল থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রামে সহিংসতা ছড়িয়েছিল, যাতে কয়েকজন নিহত হয়।
ওই ঘটনার পর পুরনো বিভিন্ন মামলায় হেফাজতের বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাকে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা হয়। তার প্রতিবাদ জানাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেছিলেন হেফাজত নেতারা। তবে তাদের বলা হয়,যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, শুধু তাদেরই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে সরকারের উদ্দেশে বাবুনগরী বলেন, “গণপ্রতিরোধ ও প্রতিবাদ ছাড়া সহজে আলেম ওলামাদের গ্রেপ্তারের জন্য লকডাউন আরও এক সাপ্তাহ বাড়িয়ে সরকার সমগ্র দেশবাসীকে কষ্ট দিচ্ছে। দেশের নিম্ন আয়ের গরিব মানুষকে আর হয়রানি ও কষ্ট না দিয়ে আমার কাছে তালিকাটা পাঠান। আমি অভিযুক্তদের সকলকে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে জেলে চলে যাব। একজন পুলিশও পাঠাতে হবে না।
“এর বিনিময়ে আপনারা লকডাউন তুলে নিন। লকডাউনের অজুহাতে জোর জবরদস্তি করে যে সকল মাদ্রাসা ও হেফজখানা বন্ধ করে কোরআন-হাদিসের চর্চা বন্ধ করে দিয়েছেন, ওগুলো খুলে দিন।”
২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতের তাণ্ডবের পরদিন লালবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বাবুনগরী। ২৩ দিন কারাভোগের পর তিনি জামিনে মুক্তি পান।
বিবৃতিতে সরকারের নীতি নির্ধারকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, “এই রমজান মাসে রিমান্ডে নেওয়া আলেম-ওলামাদেরকে বিধর্মীদের দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করাবেন না।”
গ্রেপ্তার হেফাজত নেতা-কর্মীরা হাজতের নোংরা পরিবেশে স্বচ্ছন্দে ওজু-গোসল, সেহেরি-ইফতার, নামাজ আদায়, কোরআন তেলাওয়াত করতে পারছে না বলেও অভিযোগ করেন বাবুনগরী।
নাশকতার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বাবুনগরী বলেন, “হেফাজতে ইসলামীর আন্দোলন সব সময়ই শান্তিপূর্ণ ছিল এবং ভবিষ্যতেও তাই থাকবে।
“কথিত তাণ্ডব ও ভাঙচুরের অভিযোগে সারাদেশে গত আট বছরে যত মামলা হয়েছে, তার সবই অবৈধ, ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা। বিনা শর্তে ষড়যন্ত্রমূলক এই সকল মিথ্যা মামলা বাতিল করুন, কারাবন্দী সকল আলেম ওলামাদেরকে মুক্তি দিন।”