খালেদা জিয়া কোভিড পজিটিভ: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 April 2021, 07:45 AM
Updated : 11 April 2021, 12:53 PM

তবে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক আল মামুন দাবি করছেন, করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়ার নমুনাই নেওয়া হয়নি।

শনিবার বিকালে ডা. মামুন বেসরকারি হাসপাতালের একজন টেকনোলজিস্ট নিয়ে গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসায় গেলে খবর ছড়িয়েছিল যে তিনি পরীক্ষা করাচ্ছেন।

তবে পরে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা দেননি খালেদা। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গিয়েছিলেন মামুন।

রোববার নমুনা পরীক্ষার একটি প্রতিবেদন আসে সোশাল মিডিয়ায়। ‘করোনাভাইরাস পজিটিভ’ ওই প্রতিবেদন খালেদা জিয়ার বলে লেখা রয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করলে তা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের একটি প্রতিবেদন দেখায়। যেখানে রোগীর নাম দেখায় বেগম খালেদা জিয়া। আর আইসিডিডিআর,বিতে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।

এই প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান রোববার দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের কাছে যে রিপোর্ট এসেছে, তাতে উনার (খালেদা) করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।”

এজন্য নমুনা শনিবারই সংগ্রহ করা হয়েছিল বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে সোশাল মিডিয়ায় খবর আসার পর খালেদা জিয়ার ভাগ্নে ও তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক মামুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জিজ্ঞাসায় বলেন, করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসনের নমুনাই নেওয়া হয়নি।

নমুনা সংগ্রহ কীভাবে হয়েছিল, সে বিষয়ে কোনো তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে পাওয়া যায়নি।

কয়েকজন বিএনপি নেতার সঙ্গে কথা বলা হলে তারাও এ বিষয়ে  কিছু জানেন না বলে জানান।

৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত। দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়’ শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়।

তখন থেকে তিনি গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার সঙ্গে বাইরের কারও যোগাযোগও সীমিত।