রোববার জাতীয় সংসদে তিনি বলেন, “সোনারগাঁও উপজেলার একটি বেসরকারি হোটেলে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হক একজন মহিলাকে নিয়ে অবস্থান করছিলেন। টেলিভিশনে ওই মহিলা কে তা নিজের মুখে স্বীকার করেছেন। তিনি তার স্ত্রী নন। এ বিষয়ে আরো ঘটনা জেনে সবাইকে জানাব।”
হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডব নিয়ে ৩০০ বিধিতে বিবৃতি দিতে গিয়ে মামুনুল হকের ওই ঘটনা মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, “ওই ঘটনার পর দেখলাম ওই রিসোর্টের ওপর আক্রমণ। কেন এই আক্রমণ আমার জানা নেই। সেখানে বিদেশি কয়েকজন ছিল। পুলিশ ও বিজিবি গিয়ে তাদের রক্ষা করেছেন।”
হেফাজতের তাণ্ডবের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, “হঠাৎ করে ওই ধরনের তাণ্ডব কেন, নিশ্চয় এর কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি। যেই তাণ্ডব করে থাকুক, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছি।”
শনিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টের এক কক্ষে এক নারীসহ হেফাজত নেতা মামুনুলকে ঘেরাও করে স্থানীয়রা।
পরে ওই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে হেফাজতের কর্মীরা হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান।
রাত ৮টার দিকে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে, গাড়ি ভাঙচুর করে সড়ক অবরোধ করে। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচল কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।
“আমরা ২২ জনকে আটক করেছি। এর মধ্যে বিভিন্ন ছবি আমরা দেখেছি। একজন ঘোড়ায় চড়ে তলোয়ার নিয়ে হাঁটতেছেন। তাকে ধরা হয়েছে। আমরা একজনকে দেখেছি পিস্তল উঁচু করে ফায়ার করছেন। আমরা সবগুলোকে শনাক্ত করেছি এবং ধরছি। আমরা কাউকে বাদ দেব না। আইন অনুযায়ী সবার ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “হঠাৎ করেই এরকম… নিশ্চয় উদ্দেশ্য আছে। যারাই করে থাকেন, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সব প্রচেষ্টা নিয়েছি। ঘটনাগুলো সবগুলোই উদ্দেশ্য প্রণোদিত। স্বাধীনতাবিরোধী চক্র এক হয়ে করে যাচ্ছে। তদন্ত করে উদঘাটন করে মিডিয়ায় জানিয়ে দেব।”