শনিবার ঢাকায় এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “আজকের পত্রিকা খুললে দেখবেন, কার্টুনিস্ট কিশোর জেল থেকে বেরিয়ে যে বিবৃতি দিয়েছে, সেই বিবৃতিতে বোঝা যায় যে, ভয়ঙ্কর একটা শক্তি পেছনে থেকে, এই সরকারের আড়ালে থেকে, সরকার স্ক্রিন তৈরি করেছে, সেই স্ক্রিনের পেছনে থেকে যারাই এই সরকারের বিরোধিতা করছে… তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার জন্য অমানবিক নির্যাতন করছে।”
মুশতাক আহমেদকে ‘শুধুমাত্র লেখার অপরাধে’ এবং আহমেদ কবির কিশোরকে ‘শুধুমাত্র কার্টুন আঁকার অপরাধে’ কারাগারে আটক রাখা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, “এরা তো দুইজন… আজকে পত্রিকাতে আছে, কত মানুষকে, শিশুকে, কত বয়োঃজ্যেষ্ঠকে তুলে নিয়ে গেছে, জেলে নিয়ে গেছে…।”
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রকে পুরোপুরি ‘দলীয়করণ করেছে’ মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “শুধুমাত্র নিজেদের ক্ষমতা, দাম্ভিকতা, আত্মম্ভরিতা আর দুর্নীতির বৃত্ত তৈরি করার জন্য তারা গোটা জাতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।”
ফখরুল বলেন, “এই দেশে বারে বারে এ ধরনের স্বৈরাচার এসেছে, এদেশে বার বার যেমন মগ-দুস্যরা, বর্গীরা এসেছে, পশ্চিম থেকে ব্রিটিশরা এসেছে, দখল করে নিয়েছে, তেমনি এদেশেরই তরুণ দামালেরা, যুবকরা তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে প্রয়োজনে অস্ত্র নিয়ে তাদের সরিয়ে দিয়েছে।
“১৯৭১ সালে সেই অস্ত্র হাতে নিয়ে আমাদের তরুণেরা, দামাল ছেলেরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে বিতাড়িত করেছে। সেই কথা মনে রেখে আমাদেরকে উঠে দাঁড়াতে হবে।”
জরুরি অবস্থার সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের কারাগারে যাওয়ার ১৪তম বার্ষিকীতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম এবং উত্তর ছাত্র ফোরামের যৌথ উদ্যোগে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ ছাত্র ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মীর হেলালের সভাপতিত্বে এবং বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বক্তব্য দেন।