মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে এই শোভাযাত্রা বের হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নিয়ে স্লোগানে স্লোগানে এতে অংশ নেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।
শোভাযাত্রাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সড়ক ঘুরে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন,“স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে এটি আমাদের দেশের জন্য বড় অর্জন। জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত করিয়েছেন। তিনি এখন দেশরত্ন থেকে বিশ্বরত্ন।”
সরকারের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “ঠিক সেই সময়ে একটি পক্ষের চুলকানি শুরু হয়েছে, তাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। তারা দিবাস্বপ্ন দেখেছিল সরকার হটানোর।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, “বাংলাদেশ যখন আজকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে, যখনই আমরা কোনো সুখবর পাই, তখনই তাদের চুলকানি শুরু হয়। আপনারা দেখেছেন এই কোভিডের মধ্যে তারা একটার পর একটা ইস্যু তৈরি করে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার পাঁয়তারা করেছে। তারা আল জাজিরার নাটক সাজানোর চেষ্টা করেছে, ছাত্রদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করেছে।
“এতদিন তারা বলত, পুলিশ তাদের উপর হামলা করে, এখন আমরা দেখেছি পুলিশের উপর ছাত্রদলের গুণ্ডারা ন্যক্কারজনকভাবে হামলা করেছে। কারা অভ্যন্তরে একজন লেখকের মৃত্যুকে ইস্যু করার পাঁয়তারা করছে। রাজাকারের মদদপুষ্ট একদল রাজনৈতিক পরিবেশ ঘোলাটে করার ইস্যু তৈরি করেছে। বিপ্লবকে তারা ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করেছে।”
ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন," যে কোনো মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক। যারা লাশ নিয়ে রাজনীতি করে, তাদের প্রতিহত করতে ছাত্রলীগ প্রস্তুত রয়েছে। লাশ নিয়ে আপনারা ব্যবসা করবেন, সওদাগিরি করবেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটা কর্মীও জীবিত থাকতে আপনারা সফল হবেন না।”
সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয় বক্তব্য দেন।