কর্মসূচি পালনে আইজিপির আশ্বাসে ‘আশ্বস্ত’ বিএনপির নেতারা

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করে তা পালনে পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন বিএনপির নেতারা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Feb 2021, 01:41 PM
Updated : 24 Feb 2021, 01:41 PM

বুধবার পুলিশ প্রধানের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে বিএনপির প্রতিনিধি দলের প্রধান আবদুস সালাম সাংবাদিকদের বলেছেন, “উনি ‘কাইন্ড এনাফ’।

“উনি বলেছেন, তাদের দিক থেকে কোনো অসুবিধা নেই। সারাদেশে জানিয়ে দেবেন, যাতে প্রোগ্রামগুলো ঠিকমতো করতে পারি।”

এর আগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনে পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করে আসছিলেন বিএনপির নেতারা।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বছরব্যাপী নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। ঢাকার বাইরেও জেলায় জেলায় তাদের কর্মসূচি রয়েছে।

সেই কর্মসূচি পালনে সহযোগিতা চাইতে বুধবার বিকালে পুলিশ সদর দপ্তর যান বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম। তার সঙ্গে ছিলেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বিজন কান্তি সরকার, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবেদীন।

সালাম জানান, দেখা করার জন্য তারা পুলিশ প্রধানকে আগেই চিঠি দিয়েছিলেন এবং তিনি সময় দেওয়ায় তারা এসেছিলেন।

কী নিয়ে আলোচনা করেছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কথা বলেছি, আমাদের কথা একটাই পঞ্চাশ বছর পূর্তির যে কর্মসূচি, তা নির্বিঘ্নে করতে চাই।

“বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল, মুক্তিযোদ্ধার দল। কাজেই এই বিষয়টাকে উপস্থাপন করার জন্যই আমরা কর্মসূচি নিয়েছি। সারাদেশব্যাপী কর্মসূচি যাতে করতে পারি, যাতে নির্বিঘ্নে করা যায়, এ ব্যাপারে উনার (আইজিপি) সহযোগিতা চেয়েছি।”

আইজিপি আশ্বস্ত করার পাশাপাশি কিছু পরামর্শও দিয়েছেন বলে জানান বিএনপি নেতা সালাম।

“আমরা বলেছি, আমাদের দিক থেকে কখনও কোনো কিছু ওই রকম... এমন কিছু করি না যেটা অতীতে … আমরা উদাহরণ দিয়েছি, আপনি যখন কমিশনার ছিলেন, জানেন, দেখেছেন ঢাকা শহরে কীভাবে করেছি।”

কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা উদ্বোধন করব ১ মার্চ। ভেন্যুর জন্য যাতে অনুমতি দিয়ে দেন, আইজিপি বলেছেন, এখনই তিনি জানিয়ে দেবেন, যাতে আমরা প্রোগ্রাম করতে পারি।”

২৬ ফেব্রুয়ারি নয়া পল্টন থেকে শোভাযাত্রা এবং ৩০ ফেব্রুয়ারি সমাবেশ করার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চেয়েছে বিএনপি।

সালাম বলেন, “আইজিপি জানিয়েছেন, তাদের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা নেই। যথারীতি জানিয়ে দেবেন।”

তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মুক্তিযুদ্ধের ‘সঠিক ইতিহাস’ তুলে ধরতে চায় বিএনপি।

“এই জন্য আমরা ১, ২, ৩ ও ৭ (মার্চের) সব ডেগুলো অবজারভ করব। এই সমস্ত ডেগুলোতে কার কতটুকু অবদান ছিল, সেগুলো আমরা তুলে ধরতে চাই। কাউকে খাটো করে আমরা বড় হতে চাই না। আমরা চাই যার যতটুকু অবদান আছে, সে অবদানটূকু সে পাক।”

এই প্রসঙ্গে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলে সরকারের উদ্যোগের সমালোচনা করে সালাম বলেন, “দুঃখের সঙ্গে বলতে চাই, জিয়াউর রহমানের পদক কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। যদিও জনগণ এটা কোনোভাবে মানে না।

“১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত থেকে শহীদ জিয়ার যে যাত্রা শুরু, সে যাত্রার ইতিহাস যদি কেউ কেটে ফেলতে চায়; তাহলে কিন্তু মুক্তিযুদ্ধটাই প্রশ্নবোধক হয়ে যাবে।”

“আমরা সরকারকেও বলব এবং যারা এই ধরনের হীন চক্রান্ত করছে, তাদেরকেও বলব-যদি মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করেন, তাহলে সে ধরনের কোনো ষড়যন্ত্র বা চক্রান্তে যেন না যান,” বলেন তিনি।