বুধবার ঢাকার উত্তরায় নিজের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে ডেকে কর্মসূচি ঘোষণা করেন জেএসডি সভাপতি রব।
আগামী ২ মার্চ থেকে বছরব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করবে দলটি। ২ মার্চ, ৩ মার্চ, ৭ মার্চ ও ১০ এপ্রিল আলোচনা সভা থাকবে। স্বাধীনতা সংগ্রামে ছাত্রলীগের নিউক্লিয়াস এবং প্রবাসী সরকারের ভুমিকা নিয়ে আলোচনাও থাকবে।
রব বলেন, ৫ লক্ষ্যকে সামনে রেখে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করাকে মৌলিক রাজনৈতিক কর্তব্য বলে তারা মনে করেন।
এগুলো হচ্ছে- স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের দর্শনের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেন্দ্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ, উপনিবেশিক প্রভুত্বমূলক শাসন ব্যবস্থার বিপরীতে জনগণের অংশগ্রহণমূলক স্বাধীন দেশের উপযোগী শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা, ঐতিহাসিক ১০ এপ্রিল বা ১৭ এপ্রিলকে প্রজাতন্ত্র দিবস ঘোষণা করা, বাঙালি জাতীয়তাবাদকে আরও বিকশিত করে বিশ্বের অন্যান্য উন্নত জাতিসত্তার সমকক্ষ করা, স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াসসহ স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস জাতির সামনে উপস্থাপন করা, এবং অপশাসন, দুর্নীতিগ্রস্ত ও অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার স্থলে গণমুখী, গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্র নির্মানের লক্ষ্যে জাতীয় সরকার গঠন করা।
“সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সাম্যের ভিত্তিতে নৈতিক এবং মানবিক প্রজাতন্ত্র নির্মাণ করাই হবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তির উজ্জ্বল স্বাক্ষর,” বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেএসডির সাধারণ সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন তালুকদার।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিগত ৫০ বছরে রাষ্ট্র ও সমাজের বৈষম্য বিপজ্জনক পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। কয়েক কোটি মানুষ কর্মহীন। বাক, ব্যক্তি ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্রমাগত সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। ভোট চুরি করা, দুর্নীতি ও অপচয় শাসকদের অধিকারে পরিণত হয়েছে।
“দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থার কারণে রাজনীতিবিবর্জিত একটা বর্বর সংস্কৃতির উদ্ভব ঘটেছে। বাংলাদেশ আজ দুর্বৃত্ত বৈশিষ্ট্যপূর্ণ রাষ্ট্র হিসাবে চিহ্নিত হচ্ছে। উপনিবেশিক ঘুনে ধরা শাসন ব্যবস্থা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সকল অর্জনকে ম্লান করে দিয়েছে। এখনই সময় অমানবিক ও অনৈতিক এ শাসন ব্যবস্থা উচ্ছেদ করা।”
সংবাদ সম্মেলনে জেএসডির কার্যকরী সভাপতি সা কা ম আনিছুর রহমান খান, কেন্দ্রীয় নেতা তানিয়া রব, সিরাজ মিয়া, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, বেলায়েত হোসেন বেলাল উপস্থিত ছিলেন।