তিনি বলেছেন, “দেশের সকল ক্ষমতাই এখন এক ব্যক্তির হাতে। তিনি যাই বলেন, তার বাইরে কিছুই হয় না। এটাকে কখনোই গণতন্ত্র বলা যায় না। এক ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা থাকার কারণে ক্ষমতার অপব্যবহার হচ্ছে, এটাকেই বলে স্বৈরতন্ত্র।”
গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদের দল জাতীয় পার্টি বর্তমানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটেই থেকেই বর্তমান সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসে।
তবে এরশাদের ভাই জি এম কাদের সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সমালোচনায় মুখর হওয়ার পাশাপাশি বলেছেন, জাতীয় পার্টি এখন মহাজোটে নেই।
নিজের ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে বুধবার ঢাকার বনানীতে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানেও জিএম কাদেরের মুখে ছিল একই সুর।
তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষের স্বার্থ ভূলণ্ঠিত করে দুর্নীতি ও দলীয়করণ চলছে। সরকারদলীয় নেতা-কর্মীরা আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে।”
এরশাদের পতনের পর থেকে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে একনায়কতন্ত্র চলছে বলে দাবি করেন তার ভাই কাদের।
জাতীয় পার্টিকে নিজের শক্তিতে দাঁড় করাতে দলের নেতা-কর্মীদের তৈরি হতে বলেন তিনি।
সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা কাদের বলেন, “জাতীয় পার্টি রাজনীতির মাঠে পরগাছা হয়ে থাকবে না। অস্তিত্বহীন রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতীয় পার্টি কখনোই বিলীন হবে না।
“নিজস্ব রাজনীতি নিয়ে জাতীয় পার্টি সামনে এগিয়ে যাবে। অস্তিত্বহীন বা শেকড়হীন রাজনৈতিক দলকে কোনো দলই মূল্যায়ন করবে না। রাজনীতিতে পরগাছা বা শেকড়হীন দলকে মানুষ ঘৃনা করে। ঘরে বসে হাতি-ঘোড়া মারার দিন শেষ হয়ে গেছে। এখন রাজনীতির মতো রাজনীতি করবে জাতীয় পার্টি।”
অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, “ভাষার মাসে মানুষের কথা বলার অধিকার নেই। দেশের মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। সকল রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জাতীয় পার্টি গণমানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে।”
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার আগে দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটেন কাদের।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, দলের কো-চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু, সালমা ইসলাম, এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, মীর আব্দুস সবুর আসুদ।