মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, অবৈধ ক্ষমতাসীনদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য অত্যন্ত নিপুণ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে ‘নির্বাচন ও সুষ্ঠু ভোটের শত্রু’ প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তার ‘খয়ের খাঁ’ কতিপয় নির্বাচন কমিশনার।
“নির্বাচন কমিশনার জনাব মাহবুব তালুকদার, যিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে রয়েছেন, তিনি বিবেক যন্ত্রনায় ভুগতে ভুগতে এখন পদত্যাগের কথা বলেছেন। তিনি যথার্থই বলেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থা এখন গভীর খাদের কিনারে।”
প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা ‘অনাচার-দুর্নীতি-অপকর্মের’ সঙ্গে জড়িত অভিযোগ করে তাদের ‘বিচার হবেই’ বলে মন্তব্য করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।
ঠাকুরগাঁও সদর, লক্ষীপুরের রামগতি, ময়য়নসিংহের ত্রিশাল, নরসিংদী সদর ও মাধবদী, ফরিদপুরের নগরকান্দা, রাজশাহীর নওহাট্টা ও তাহেরপুর পৌরসভার নির্বাচনে ‘ভোট কারচুপি’ ও ‘ক্ষমতাসীনদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের’ অভিযোগ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, “চতুর্থ দফায় পৌর সভা নির্বাচনে আগের ধাপের নির্বাচনগুলোর মতোই ছিল আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দখলে; সব ভোটকেন্দ্রেই তাদের দৌরাত্ম ছিল আগের মতোই ব্যাপক নজীরবিহীন। ভোট কেন্দ্রগুলো ছিল সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য। সামগ্রিক নির্বাচনটি সরকারের কর্তৃত্ববাদী শাসনের এক জলন্ত দৃষ্টান্ত।
“বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী বিধান রয়েছে। কিন্তু তারা তাদের নিজেদের ক্ষমতাকে প্রয়োগ না করে শেখ হাসিনার পদলেহনেই ব্যস্ত রয়েছেন। নির্বাচন কমিশন সব নির্বাচনে শেখ হাসিনার সিলেক্টেড প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করে।”
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, আবদুস সালাম আজাদ, মুনির হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের জাহিদুল কবির, মতস্যজীবী দলের আব্দুর রহিম উপস্থিত ছিলেন।