তিনি বলেছেন, “ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে হবে।”
প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারে সেজন্য মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থল সংরক্ষণ এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণে জাদুঘর নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের ৬৬তম সভায় যোগ দিয়ে এসব নির্দেশনা দেন তিনি।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন প্রান্ত থেকে ট্রাস্টি বোর্ডের অন্য সদস্যরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত ছিলেন।
সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব কেএম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী দরিদ্র ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের খুঁজে বের করে তাদের পাশে দাঁড়াতে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের অনুরোধ করেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার সরকার অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেবে।
ট্রাস্টি বোর্ডের কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করেন এবং নিয়মিত সভা করার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধার সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন। এছাড়াও জাতীয় চার নেতা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং দেশের অন্যান্য প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে যারা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদেরও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন তিনি।
সভায় অন্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজহান খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।