ইতিহাস বিকৃতকারীদের জনগণ চিনে নিয়েছে: আমীর খসরু

বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ইতিহাসে ‘স্বর্ণাক্ষরে’ লেখা থাকবে মন্তব্য করে বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ইতিহাস বিকৃতকারীদের দেশের জনগণ চিনে নিয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Feb 2021, 02:44 PM
Updated : 15 Feb 2021, 03:21 PM

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে দলটির প্রতিবাদের মধ্যে একথা বললেন তিনি।

সোমবার চট্টগ্রাম ক্লাবে বিএনপির ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন’ মিডিয়া কমিটির উদ্যোগে চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য আমীর খসরু।

আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, পাকিস্তান ভোটাধিকার হরণ করায়, সেই দিন এদেশের মুক্তিযোদ্ধারা ভোটাধিকার হরণের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে সম্মুখযুদ্ধ করেছিলেন।

“আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে গিয়েও ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে এদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষকে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে নির্লজ্জভাবে।”

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার পরের সরকারের একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে দেশকে বের করে নিয়ে ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

“দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শহীদ জিয়ার অবদান এদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।”

রাজনীতিবিদরা যখন ইতিহাস রচনা করেন, তখন সেই ইতিহাস ‘প্রপাগান্ডা’ হয় বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, “একমাত্র ইতিহাসবিদরাই সত্যিকারের ইতিহাস রচনা করতে পারেন। তাই আমি মনে করি, যারা ইতিহাসবিদ তারাই প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম সত্যিকারের ইতিহাস পৌঁছে দেবেন। ইতিহাস বিকৃতকারীদের এদেশের আপামর জনগণ চিনে নিয়েছেন।

“তাই ইতিহাসকে বিকৃত করে জনসম্মুখে তুলে ধরে নিজেরাই নিজেদের আসল রূপের বহিঃপ্রকাশ করছেন জনসম্মুখে।”

বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দীনের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন মিডিয়া কমিটির সদস্য সচিব শামা ওবায়েদ এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম বক্তব্য রাখেন।

অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।