খালেদা জিয়া বন্দি বলে জাতি বেদনায় ভারাক্রান্ত: রিজভী

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাগারে যাওয়ার তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে সারাদেশে জেলা-মহানগরে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Feb 2021, 07:57 AM
Updated : 6 Feb 2021, 10:04 AM

শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপি নেত্রীর জন্য জাতি বেদনায় ভারাক্রান্ত।

রিজভী বলেন, “আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারাবন্দিত্বের তিন বছর। এই দিন করাবন্দিত্বের প্রতিবাদে বিএনপি ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে সকল জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করবে।”

জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে যান। এরপর জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায়ও তার সাজা হয়। দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজা হয়েছে তার।

করোনাভাইরাস মহামারীকালে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়। তারপর থেকে তিনি গুলশানে নিজের বাসা ‘ফিরোজায়’ আছেন। তবে সেখানে দলের নেতা-কর্মীসহ কারও সঙ্গে তার সাক্ষাত হচ্ছে না।

রিজভী বলেন, “গত মার্চে কারাগার থেকে বাড়ি নিয়ে আসা হলেও তিনি মূলত গৃহবন্দি। অগণতান্ত্রিক সরকারের দোসররা কখনই গণতান্ত্রিক শক্তির মিত্র হতে পারে না বলেই বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে বন্দি করে রেখেছে।

“আজ তার বন্দিত্বের জন্য সারা জাতি বেদনায় ভারাক্রান্ত। এই ঘোর তিমির ঘন পরিবেশের অবসান ঘটবেই, আওয়ামী লাঠিপেটা গণতন্ত্রের কবর রচনা হবেই, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবই।”

বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের প্রতিক্রিয়ার জবাবে রিজভী বলেন. “বিএনপিসহ বিরোধী দলের কোনো সমাবেশের কথা শুনলেই ওবায়দুল কাদের সাহেবদের কাঁপুনি ধরে। কারণ প্যান্ডোরার বক্স খুলে গিয়ে সকল সত্যগুলো পুনরায় বের হতে থাকবে।”

তিনি বলেন, “৬টি মহানগরে সমাবেশের জন্য কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গত নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থীরা। এই সমাবেশের উদ্দেশ্য নির্বাচনী অনিয়মের প্রতিবাদ করা এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি করা। এটা তো গণতন্ত্রের বিধান, এটা তো গণতন্ত্রের পদ্ধতি। এখানে ওবায়দুল কাদের সাহেব হুমকির কী দেখলেন?

“আমরা বলতে চাই, ওবায়দুল কাদেরের হুমকি জুলুমবাজ কর্তৃত্ববাদী শাসনের বহিঃপ্রকাশ। তা বক্তব্য প্রচণ্ড অবাক করেছে জনগণকে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে জনরোষের ভয়ে ওবায়দুল কাদের সাহেবরা ঘরে বসে হুঙ্কার দিচ্ছেন।

“গণতান্ত্রিক অধিকার হচ্ছে সভা-সমাবেশ করা। আর সেই সভা-সমাবেশ বন্ধ করার হুমকি কোনো রাজনৈতিক নেতা দিতে পারেন না, সেটি কেবলই মাফিয়ারাই দিতে পারে।”

নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, বেলাল আহমেদ, মহানগর দক্ষিণের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব উপস্থিত ছিলেন।