চট্টগ্রামে ভোটে সহিংসতা নিয়ে ইসিতে আ. লীগের নালিশ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সন্ত্রাস-সহিংসতার জন্য বিএনপিকে দায়ী করে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Jan 2021, 10:53 AM
Updated : 27 Jan 2021, 10:53 AM

বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ভোটগ্রহণ হয়। ভোট চলাকালে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ এবং একটি কেন্দ্রের বাইরে গুলিতে একজন নিহত হন।

ভোটগ্রহণ শেষের দিকে বিকালে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল এসে নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়।

বিএনপির প্রতিনিধি দল কমিশনের কাছে অভিযোগ দেওয়ার পরই আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল আসে।

ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় কাযনির্বাহী কমিটির সদস্য এবিএম রিয়াজুল কবীর কাউছার ইসি সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। এ সময় উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।

পরে বিএনপির নাম উল্লেখ করে রিয়াজুল কবীর কাউছার সাংবাদিকদের বলেন, “দুয়েকটি অভিযোগ ইসির কাছে জানাতে এসেছি। চট্টগ্রামের ভোটে সকাল বেলা বিভিন্ন কেন্দ্রে প্যানিক সৃষ্টি করা হয়েছে, যাতে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসতে না পারে।... প্রায় ৪০টি ওয়ার্ডে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে ভোটাররা যেন কেন্দ্রে না আসতে পারে এ কর্মকাণ্ড চালিয়েছে।”

‘বিএনপির সন্ত্রাসীরা’ মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকের ছেলেকে ছুরিকাঘাত করেছে বলে অভিযোগ করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।

তিনি বলেন, “বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ইভিএম ভেঙে ফেলেছে ও কেন্দ্র দখল করেছে। আমবাগান এলাকায় বিএনপি সন্ত্রাসীরা হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। পাঁচলাইশ এলাকায় আমাদের নির্‌বাচনী এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছে।”

চট্টগ্রাম সিটি ভোটের দিন সকালে নগরীর লালখান বাজার ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এলাকাটি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

সন্ত্রাস-সহিংসতা না থাকলে ভোটার উপস্থিতি আরও বাড়ত বলে মন্তব্য করেন রিয়াজুল কবির কাউছার।

তিনি বলেন, “পৌর নির্বাচনে ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে। করোনাকালেও আরও উপস্থিতি বাড়বে বলে আশা ছিল। আমরা তো অংশগ্রহণমূলক এ নির্বাচনের চেষ্টা করেছি। তারা চেষ্টা করেছে ভোটাররা যেন না আসে।”

এদিকে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, নির্বাচনকে ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ করতে বিএনপি ‘পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন কেন্দ্রে হামলা’ করছে।

সকালে নগরীর লালখান বাজার ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ২১ জন আহত হন। আর পাহাড়তলীতে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘাতের মধ্যে গুলিতে এক যুবকের মৃত্যু হয়।

ভোট চলার মধ্যেই দুপুরে ঢাকার নির্বাচন ভবনে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বরাবরে এক গুচ্ছ লিখিত অভিযোগ দিয়ে আসেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।

সেখানে রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা ভোটের ৩ ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত চিত্র দিয়েছি। এটা নজিরবিহীন নির্বাচন। দিনের ভোট রাতে হয়।”