সোমবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বিএনপিকে আগে টিকা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন।
“তারা তো গুম, খুন, বিচারবর্হিভূত হত্যা, ক্রসফায়ার- এটা করেও ওদের মনে স্বাদ মিটছে না। এখন ভেজাল টিকা নিয়ে দেখবে বিএনপি মরে না বাঁচে। তারপরে এরা নেবে।”
টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ ভারতে না হওয়ার আগেই বাংলাদেশকে দেওয়ার বিষয়টিকে ‘নিষ্ঠুর তামাশা’ হিসেব বর্ণনা করেন রিজভী বলেন, “এটা আমার কথা নয় বা বাংলাদেশের মিডিয়া এটা বলেনি। আন্তর্জাতিক মিডিয়া রয়টার্স সংবাদ সংস্থা এটা বলেছে যে, ট্রায়াল হিসেবে এটা দেয়া হয়েছে বাংলাদেশে।”
টিকার জন্য সম্মতিপত্র বা অঙ্গীকারনামার বিষয়টিকে ‘জালিয়াতি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এই বিএনপি নেতা বলেন, “এখানেই তো সন্দেহ আরো ঢুকিয়ে দেওয়া হলো। একটা টিকা দেবেন সেই টিকাটা সকল গবেষণায় উত্তীর্ণ হবে যে, টিকা নেওয়ার পর এই করোনাভাইরাস আমাকে আক্রমন করবে না।
“সেখানে অঙ্গীকারনামা কেন? সেখানে সম্মতিপত্র কেন? সেখানে সই দেবে কেন? জনগণতো আরো সন্ত্রস্ত হলো যে, ওখানে ডাল মে কুচ কালা হ্যা।”
রিজভী বলের, “ভারত নিজে তাদের দেশের লোককে এই করোনার টিকা দিচ্ছে না। মার্চ মাসে ট্রায়াল করবে। আমরা তেলাপোকা, আমরা কী ব্যাঙ, আমরা কী গিনিপিগ বাংলাদেশের লোক?”
“যে সরকার মানুষের জীবন নিয়ে তামাশা করে, মানুষের বাঁচা-মরা দিয়ে তামাশা করে, সেই সরকার জনগণের সরকার নয়। এটা আমরা বার বার বলেছি। শুধু ভোটের ক্ষেত্রে নয়, মানুষের জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রেও ওরা তাচ্ছিল্য করেছে, ওরা উপহাস করেছে।”
আরাফাত রহমান কোকোর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তার মৃত্যু ‘স্বাভাবিক নয়, এক ধরনের হত্যাকাণ্ড’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় আরাফাত রহমান কোকো স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে তার ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই দোয়া মাহফিল হয়। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান কোকো।
সংগঠনের সভাপতি ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হকের ও কৃষক দলের সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আাবদুস সালাম আজাদ, খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক, কৃষক দলের সহস্য সচিব হাসান জাফির তুহিন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
কোকোর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ নেছারুল হক বিশেষ মোনাজাত করেন।