রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সংসদে আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে মঙ্গলবার তিনি সংসদে বলেন, “জিয়াউর রহমান বলেছিলেন ‘মানি ইজ নো প্রব্লেম।’ কিন্তু জিয়া পরিবারের জন্য শেষ পর্যন্ত মানি ইজ প্রব্লেম হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ অর্থলোভী জিয়া পরিবারের অর্থের ক্ষুধার লোভে বিএনপি পরিবার এখন পুড়ে মরছে।”
ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় এই সংসদ সদস্য বলেন, “স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও দেশে স্বাধীনতার পক্ষ ও বিপক্ষ থাকে এবং দেশের বড় রাজনৈতিক দল স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তিকে সহযোগিতা করে- সেই দেশকে এগিয়ে নেওয়া সহজ নয়। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটা সম্ভব করেছেন।
“সারা দেশের মানুষের কাছে আজ শেখ হাসিনার উন্নয়ন পৌঁছে গেছে, ভালোবাসা পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন বিশ্বে রোল মডেল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন দৃঢ় গণতন্ত্রে পরিণত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ অনুসরণ করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু অতীত নন, তিনি আমাদের বর্তমান।”
বিএনপির সমালোচনা করে সাগুফতা বলেন, “খালেদা জিয়া ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের সংসদে বসায়। বিএনপির আমলে দেশ বার বার দুনীতিতে চাম্পিয়ন হয়। হাওয়া ভবন সৃষ্টি করে দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম করে। তারা দুনীতিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। সন্ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করে। বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল জিয়াউর রহমান। তার ছেলে ২১ আগস্ট গেনেড হামালার সঙ্গে জড়িত।”
আওয়ামী লীগের সাংসদ শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, “বিএনপি এখন পথহারা পথিক। তাদের পথ দেখানোর কেউ নেই। উদ্ভ্রান্তের মতই তাদের ঘুরতে হবে।”
অসীম কুমার উকিল বলেন, “যারা ইভিএমের বিরোধিতা করে, তাদের জ্ঞানের অভাব রয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে এরকম পদ্ধতি ভোটার বাড়াচ্ছে। সামনে ইভিএম সর্বাত্মক ছড়িয়ে দিয়ে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য করা হবে।”
বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন্নাহার বলেন, “রামপাল, মোংলা একসময় নদী নালা খাল বিল এলাকা ছিল। এখন যা কিছু হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে হয়েছে। সবচেয়ে পশ্চাদপদ এলাকা ছিল। সেটা এখন অনেক এলাকাকে ছাড়িয়ে গেছে। সুন্দরবন সুরক্ষা প্রকল্প পাস হয়েছে। বনের জমি অনেকে দখল করে রেখেছে, এখন দখলমুক্ত করার চেষ্টা চলছে।”
জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপু বলেন, “দেশের টাকা বিদেশে যায়। শত শত কোটি নয়, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে যায়। কিন্তু ব্যাংক থেকে পাঁচ লাখ টাকা তুলতে নানা কৈফিয়ত দিতে হয়। ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের ধরা হয়, কিন্তু রাঘব বোয়ালরা পার পেয়ে যায়।”
তিনি বলেন, “সরকারের ভেতরে ঘাঁপটি মেরে থাকা কিছু লোক বিরোধী দলের সাথে গোপনে আঁতাত করে। আবার তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় কথা বলেন। এদেরকে চিহ্নিত করতে হবে।”