সিরাজগঞ্জে তারিকুল হত্যায় জড়িত যেই হোক, বিচার হবে: কাদের

সিরাজগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের দিন সংঘর্ষে বিজয়ী কাউন্সিলর তারিকুল ইসলাম খান নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Jan 2021, 10:57 AM
Updated : 18 Jan 2021, 10:57 AM

সোমবার চারদিন ব্যাপী অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে একথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “পৌরসভা নির্বাচনে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কাউন্সিলর পদে বিজয়ী প্রার্থীর নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে। অপরাধীদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।”

পুলিশকে পরবর্তী নির্বাচনে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “সংঘাত ও হানাহানি এড়াতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহকে আরো কঠোর হতে হবে।”

দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে ব্যাপক সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি হয়েছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “মানুষ উন্নয়ন চায় বলেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিপুল ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছে।

“বিএনপির প্রার্থীরা যেখানে সক্রিয় এবং জনপ্রিয় ছিল, সেখানে তারা বিজয়ী হয়েছে, এমনকি তাদের দুজন বিদ্রোহী প্রার্থীও বিজয়ী হয়েছে। বিএনপি নেতারা এখন কোন দোষ খুঁজে না পেয়ে ভোটের ব্যবধান বেশি নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করছে। শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অর্জনের কারণেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীগণ বেশি ভোটে জয়ী হয়েছে, এটাই স্বাভাবিক।

“জনগণের কাছে বিএনপি কি বলে ভোট চাইবে, তাদের তো বলার কিছু নেই। আগুন-সন্ত্রাস আর মানুষ পুড়িয়ে মারা এবং দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়া তাদের জনগণের কাছে আর কি বা বলার আছে?”

ভোট কেন্দ্রে না এসে, প্রচার না চালিয়ে বিএনপি ভোটারদের আস্থা হারিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, “বিপুল ভোটের ব্যবধান বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতিকে জনগণের প্রত্যাখ্যান। এ বিজয় উগ্র সাম্প্রদায়িকতা তোষণ এবং পোষণের বিরুদ্ধে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ। এ ব্যবধান এবং  বিজয় থেকে বিএনপি ভবিষ্যতে  শিক্ষা নিবে।”

কর্মদক্ষতার পাশাপাশি জীবনদক্ষতাও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “ফায়ার সেফটিসহ অন্যান্য বিষয়ে দক্ষতা অর্জন জীবনদক্ষতার জন্য সহায়ক হবে। নিজেরা প্রশিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি কর্মপরিবেশে অগ্নি নিরাপত্তা প্রতিরোধ ব্যবস্থা, উদ্ধার তৎপরতা, নিজের সুরক্ষা, প্রাথমিক চিকিৎসাসহ অন্যান্য বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সফল হতে হবে।

“আগুন,বন্যা, ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন দুর্যোগে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সবার মনে রাখতে হবে শুধু নিজে বাঁচার জন্য নয়,নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করে অন্য ক্ষতিগ্রস্তদের সুরক্ষা এবং জীবন রক্ষাই হতে হবে প্রধান লক্ষ্য।”