নতুন নামে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের একাংশ

আদর্শিক দ্বন্দ্ব ও সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্যকে কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ-মার্ক্সবাদী) সমর্থিত সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের একটি অ‍ংশ ভেঙে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Jan 2021, 02:46 PM
Updated : 17 Jan 2021, 08:53 AM

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল’ নামে সংগঠনটির ২০ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা দেন ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) একাংশের আহ্বায়ক তাজ নাহার রিপন।

নতুন ছাত্র সংগঠনের সভাপতি হয়েছেন আরিফ মঈনুদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল বিশ্বাস।

সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের পটভূমিতে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) ছাত্র সংগঠন হিসেবে ১৯৮৪ সালের ২১ জানুয়ারি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট আত্মপ্রকাশ করেছিল।

বাসদ এখন তিন ভাগে বিভক্ত। মূল দলের ভাঙনের জন্যই ছাত্র সংগঠনের মধ্যেও ভাঙন দেখা যায়। মূল দলের নেতৃত্বে রয়েছেন খালেকুজ্জামান। আর দ্বিতীয় ভাগের (বাসদ-মার্কসবাদী) নেতৃত্বে মুবিনুল হায়দার চৌধুরী এবং বাসদের (মার্কসবাদী পাঠচক্র ফোরাম) নেতৃত্বে রয়েছেন শুভ্রাংশু চক্রবর্তী।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ছাত্র সংগঠনটি জোটবদ্ধ ও এককভাবে শিক্ষা ও গণতন্ত্রের সংগ্রামে আপসহীন সাহসী ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু সংগঠনের অভ্যন্তরে আদর্শিক ও সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে গুরুতর মতপার্থক্যের কারণে সংগঠনটি তিন ধারায় বিভক্ত- সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মাসর্কবাদী) এবং নতুন আত্মপ্রকাশ পাওয়া অংশ গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল।

গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল নামের নতুন এই  ছাত্র সংগঠনের দার্শনিক ভিত্তি ‘সমাজতন্ত্র-সাম্যবাদ’।

সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের পক্ষ থেকে তিন দফা ‘জরুরি দাবি’ জানানো হয় ।

১. স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে পর্যায়ক্রমে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক হল-হোস্টেল খুলে দিতে হবে। রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে শিক্ষার্থীদের করোকালীন বেতন-ফি মওকুফ করতে হবে।

২. মতপ্রকাশের কারণে হয়রানি-নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে।

৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হল- হোস্টেল একক দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।