গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেন একথা জানান।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "আমরা বর্হিবিশ্বে আমাদের জাতীয়তাবাদী শক্তির যারা প্রতিনিধি রয়েছেন, আমাদের দলের যেসব শাখা রয়েছে তাদেরকে মিলে আমরা আঞ্চলিক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মধ্যপ্রাচ্য আঞ্চলিক কমিটি, ইউরোপ আঞ্চলিক কমিটি, যুক্তরাজ্য আঞ্চলিক কমিটি ইতিমধ্যে গঠিত হয়েছে।
"আরো অন্যান্য আঞ্চলিক কমিটির তালিকা আমরা পাচ্ছি, সেটা গঠনের।"
এই সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটিতে আবদুস সালাম সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন।
১৩৫ সদস্যের জাতীয় কমিটির বাইরে ৭ সদস্যের স্টিয়ারিং কমিটি, ১৫টি বিষয়ভিত্তিক কমিটি ও ১০টি বিভাগীয় সমন্বয় কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সকালে সম্মাননা বিষয়ক কমিটির সভা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, "এই বিএনপি স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল, এই দল মুক্তিযোদ্ধাদের দল। আমরা দাবি করি, আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের দল। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধারা এই দলে রয়েছেন।
"আমাদের দল এজন্য অত্যন্ত ভালোভাবে সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে চায়। আমাদের সকলের একটা আবেগ যে, এই মুক্তিযুদ্ধ যারা জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করেছেন, যারা প্রাণ দিয়েছেন, আমরা যে স্বাধীনতা চেয়েছিলাম সেই আকাঙ্ক্ষা আমাদের পূরণ হয়েছে কিনা। এটা অবশ্যই ৫০ বছরে আমাদের মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। যারা আমরা যুদ্ধ করেছি তাদেরই দায়িত্বটা এতোবেশি আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।”
তিনি বলেন, ‘‘মুক্তিযুদ্ধের পরে ৫০ বছর পার হয়েছে। আমরা দেখেছি মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষাকে নিয়ে এবং এই ৫০ বছরের আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার অনেক চেষ্টা চলছে।
"তাই আমাদের দায়িত্ব যারা আমরা যুদ্ধ করেছি, যুদ্ধে সহযোগিতা করেছি এখনো বেঁচে আছি আমাদেরই দায়িত্ব নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসটা তুলে ধরা, প্রকৃতটা জানিয়ে যাওয়া। সেজন্য আমরা সারা বছর প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে।”
সম্মাননা কমিটির আহ্বায়ক ব্যারিস্টার অবসরপ্রাপ্ত মেজর শাহজাহান ওমর বীরোত্তমের সভাপতিত্বে এই সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল জয়নাল আবেদীন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, মুক্তিযোদ্ধা দলের উপদেষ্টা শাহ মো. আবু জাফর, চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের রিয়াজ উদ্দিন নসু ও শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।