খোকনের বক্তব্য ‘ব্যক্তিগত, গুরুত্বহীন’: তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বক্তব্যকে ‘গুরুত্বহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Jan 2021, 12:02 PM
Updated : 10 Jan 2021, 12:48 PM

রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, “কেউ যদি ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে কোনো কিছু বলে থাকেন, সেটার জবাব আমি এখন দায়িত্বশীল পদে থেকে দেওয়াটা সমীচীন বলে মনে করি না।”

ফুলবাড়িয়া মার্কেটে সাম্প্রতিক উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা পুনর্বাসনের দাবিতে শনিবার ঢাকায় কদম ফোয়ারার সামনে মানববন্ধন করেন। সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন ওই কর্মসূচিতে সংহতি জানাতে এসে বর্তমান মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন। 

তিনি বলেন, “তাপস দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শত শত কোটি টাকা তার নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তর করেছেন এবং এই শত শত কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লাভ হিসেবে গ্রহণ করছেন। অন্যদিকে অর্থের অভাবে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের গরিব কর্মচারীরা মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছেন না, সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।”

‘এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে’ তাপস সিটি করপোরেশন আইনের ৯(২)(জ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মেয়র পদে থাকার ‘যোগ্যতা হারিয়েছেন’ বলেও মন্তব্য করেন সাঈদ খোকন। 

শনিবার যোগাযোগ করে কোনো বক্তব্য না পাওয়া গেলেও রোববার বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তাপস।

মেয়র পদে থাকার ‘যোগ্যতা হারানো’ প্রসঙ্গে খোকনের বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তাপস বলেন, “এটা উনার ব্যক্তিগত অভিমত, এটা কোনো গুরুত্ব বহন করে না।”

কর্মীদের বেতন দিতে না পারার অভিযোগের বিষয়ে মেয়র তাপস বলেন, “এমন বক্তব্যের বাস্তবিক কোনো ভিত্তি নেই।” 

দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরের মাথায় যেভাবে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হল, সে বিষয়ে এক প্রশ্নে তাপস বলেন, “যদি কেউ উৎকোচ গ্রহণ করে, যদি কেউ ঘুষ গ্রহণ করে, যদি কেউ কোন কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য কমিশন বাণিজ্য করে, যদি কেউ সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে, বিল দেওয়ার জন্য কমিশন বাণিজ্য করে, সরকারি প্রভাব কাজে লাগিয়ে কাউকে জিম্মি করে অথবা কোনো কিছু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অর্থ নিয়ে থাকে, অর্থ আত্মসাৎ করে থাকে, সেই ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়। এছাড়া যে অভিযোগ আনা হয়েছে এটা কোনোভাবেই কোনো বস্তুনিষ্ঠ বক্তব্য না।”