শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তাদের এই মন্তব্য আসে।
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতারের বিবৃতিতে বলা হয়, “বিএনপি-জামাত-জঙ্গির ভাড়াটে খেলোয়াড় রাজনৈতিক মোল্লারা মানুষ বা অন্য যে কোনো প্রাণির ভাস্কর্য অথবা মূর্তি নির্মাণ, স্থাপন ও সংরক্ষণ পূজার উদ্দেশ্যে না হলেও সন্দেহাতীতভাবে নাজায়েজ, স্পষ্ট হারাম এবং কঠোরতম আজাবযোগ্য গুণাহ- বলার মাধ্যমে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর দেশে দেশে মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সকল জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি-জীবনবোধ-আইন-নীতি-সংবিধানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।”
ধর্মভিত্তিক সংগঠনের নেতারা তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে ‘সাম্প্রদায়িক উসকানি’ দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন জাসদ নেতারা।
তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, “এসব রাজনৈতিক মোল্লারা উপরন্তু অপরাপর ধর্মাবলম্বীদের পূজার উদ্দেশ্যে প্রতিমা স্থাপনকেও ‘স্পষ্ট শিরক’ বলার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ার মতো এবং ধর্মগুলোর মধ্যে তুলনা করার মতো গর্হিত অপরাধ করেছে।
“এদের এ নিন্দনীয় ও গর্হিত অপরাধ বাংলাদেশের সংবিধানে ঘোষিত মৌল নীতিমালার পরিপন্থি। রাজনৈতিক মোল্লারা যে বক্তব্য দিয়েছে তা অশিক্ষাপ্রসূত।”
“এদের এসব বক্তব্য পৃথিবীর দেশে দেশে মুসলিমদের জীবনাচারের বিরোধী এবং সক্রিয় অসংখ্য মুসলিম-চিন্তাবিদদের মতামতের সাথে সাংঘর্ষিক।”
হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের নেতাদের নিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, তারা প্রকৃতপক্ষে ‘আলেম নন’।
“হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী, আর স্বাক্ষরদাতাদের প্রায় সকলে হেফাজত ও শাসনতন্ত্র আন্দোলনের রাজনৈতিক মোল্লা। এরা প্রকৃত আলেম-ওলামা নয়; বরং এরা রাজনৈতিক দলের নেতা।
এদের মার্কা আছে, এরা নির্বাচন করে এবং এরা বিএনপি-জামাত-জঙ্গির ভাড়াটে খেলোয়াড়। এদের বিবৃতির ভাষ্য বেআইনি ও উসকানিমূলক এবং সংবিধান ও রাষ্ট্রবিরোধী। সুতরাং শাস্তিযোগ্য।”