মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আমলা দিয়েই মুজিবের শাসন সম্ভব: তাপস

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আমলাদের মাধ্যমে সত্যিকারের ‘মুজিবের শাসন’ কায়েম হতে পারে বলে মনে করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Dec 2020, 05:02 PM
Updated : 4 Dec 2020, 05:02 PM

শুক্রবার বিকেলে নগর ভবন প্রাঙ্গণে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনির ৮১তম জন্মদিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই রাজনীতিতে শেখ মনির হাতেখড়ি জানিয়ে তার ছেলে তাপস বলেন, “বাবা যখন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র তখন বঙ্গবন্ধু আমার দাদিকে বললেন- মনিকে আমাকে দাও। দাদি বললেন, খোকা, তোমার পিছেই বাবা-মাসহ আমরা সবাই বিচলিত থাকি, চিন্তায়-দুঃশ্চিন্তায় থাকি। তুমি এখন মনিকে নিতে চাচ্ছ। তাহলে কী হবে? তখন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমার তো কেউ ছিল না। আমার মনির তো আমি আছি। এই বলে বঙ্গবন্ধু বাবাকে তখন তার সান্নিধ্যে নিয়েছিলেন। সেই থেকে বাবার রাজনীতির শুরু এবং তার রাজনৈতিক হাতেখড়ি জাতির পিতার মাধ্যমেই হয়েছিল।

“এরপর তিনি ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ছাত্রলীগের নিউক্লিয়াসের মাধ্যমে স্বাধীনতার সংগ্রামকে বেগবান করার জন্য যে নির্দেশনা জাতির পিতা দিয়েছিলেন, তার অন্যতম কর্ণধার ছিলেন শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি। তার মাধ্যমে ছাত্রলীগের তুখোড় নেতৃবৃন্দদেরকে খুঁজে খুঁজে বের করেছেন এবং স্বাধীনতা সংগ্রাম উদ্বুদ্ধ করেছেন।”

আমলাতন্ত্র একটি সরকার পরিচালনায় ‘সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করে’ এবং সরকারের চেতনার সাথে আমলাদের একই চেতনায় জাগ্রত থাকার গুরুত্ব তুলে ধরে মেয়র তাপস বলেন, “বাবা বলেছিলেন, মুনিবের আমলা দিয়ে মুজিবের শাসন চলতে পারে না। সেটা প্রমাণিত হয়েছে।

“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সরকার পরিচালিত হচ্ছে, সেখানে আমলাতন্ত্র সরকারের সেই আদর্শ-নীতি ধারণ করেছে বলেই আজকে আমরা সেই পর্যায়ে উন্নতি সাধন করতে পারছি। সে বিষয়টা সেই সময় শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি তুলে ধরেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যে আমলা হবে, সেই আমলার মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে মুজিবের শাসন কায়েম হতে পারে।”

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে শেখ ফজলুল হক মনি সরাসরি রণাঙ্গনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি ঘরে বসে কোনো আন্দোলন- সংগ্রাম কিংবা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। স্বাধীনতার পর সোনার বাংলাদেশ গড়তে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশেই শেখ ফজলুল হক মনি যুবকদের নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

“আমি ১৯৭৮ সালে জেলখানা থেকে আসার পর বলেছিলাম, জাতি এবং আওয়ামী লীগ হারিয়েছে জাতির পিতাকে, কিন্তু যুবলীগ হারিয়েছে জাতির পিতা এবং যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতাকে, তাই যুবলীগের ক্ষতি বেশি হয়েছে। সুতরাং যুবলীগকে প্রতিশোধ গ্রহণ করতে হবে। বাকশাল গঠনের পর শেখ ফজলুল হক মনির বাকশাল নেতৃবৃন্দকে ঢাকায় ডেকে নিয়ে এসে দেওয়া বক্তৃতা সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে প্রশংসিত হয়েছিল।”