মীরপুরের বাউনিয়া বেড়িবাঁধ সংলগ্ন বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের এক অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার তার এ মন্তব্য আসে।
গয়েশ্বর বলেন, “দেশে গণতন্ত্র নেই। আর গণতন্ত্র না থাকলে সেখানে আইনের শাসন থাকে না। তবে আমি ‘গণতন্ত্র নাই’ বলি না। বলি একশ ভাগ ব্যক্তিতন্ত্র। একজন ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর পুরো দেশ আজকে চলছে।”
দেশে কোনো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এখন ‘নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে না’ বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি নেতা গয়েশ্বর।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো যদি নিজস্ব চিন্তা-ধারা ও ন্যায় নীতি প্রতিষ্ঠা করতে না পারে, জনগণ কোনো সুফল পায় না।
“জনগণ নানাভাবে নির্যাতিত, নানাভাবে জনগণ অত্যাচারিত হচ্ছে ও নিগৃহীত হচ্ছে। আমরা যে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্য একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করেছি; রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে আমাদের ভাই-বোনেরা, সেই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনা এখন জরুরি। আসুন আমাদের শপথ হোক- ব্যক্তিতন্ত্র নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক।”
রাজধানীর কয়েকটি বস্তিতে কাছাকাছি সময়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে ‘রহস্যজনক’ হিসেবে বর্ণনা করে সরকারকে বিষয়টি দেখার আহ্বান জানান গয়েশ্বর।
ঢাকা মহানগর বিএনপির আয়োজনে এই ত্রাণ বিতরণে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর উত্তরের কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন, শামীম পারভেজ, সোহেল রহমান, ইকবাল হোসেন, কাওছার আহমেদ, সাজেদুল আলম টুটুল, আশরাফ আলী গাজী উপস্থিত ছিলেন।