বুধবার ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই নির্দেশনা আসার পর এক বিবৃতিতে নিন্দা জানিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “সরকারের এই সিদ্ধান্ত জনগণের সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি এবং গণতন্ত্র ও রাজনীতির জন্য অশনি সংকেত।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “অনুমতির নামে সরকার রাজনীতিকে বিভিন্ন শর্তের বেড়াজালে আটকে নিয়ন্ত্রণ করছে, জনগণের অধিকার হরণ করছে। রাজনীতির স্বাভাবিক পথ রুদ্ধ ও সংকুচিত করছে। মূলত প্রশাসনকে অপব্যবহার করে জনরোষ ও গণআন্দোলন থেকে নিজেদের রক্ষা করতে সরকার সংবিধান স্বীকৃত জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করছে।
“আমরা সংবিধান ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থি এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “সংবিধানে অবাধে সভা-সমাবেশ করার অধিকার যে কোনো নাগরিক ও সংগঠনের আছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সংবিধান স্বীকৃত জনগণের এই অধিকার বিভিন্ন সময় কেড়ে নি্য়েছে অথবা সংকুচিত বা নিয়ন্ত্র করেছে, যা সংবিধানের লংঘন।
“আজ আবার হঠাৎ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে দিয়ে পূর্বানুমুতি ছাড়া রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার আবারও সংবিধান লংঘন করল। অথচ ক্ষমতাসীন দল বা তাদের সংগঠন কোনো পূর্বানুমুতি বা শর্ত ছাড়া যখন-তখন রাস্তা বা লোকালয় দখল করে সভা-সমাবেশ করছে।”
বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের স্বাক্ষরে মহাসচিবের বিবৃতিটি গণমাধ্যমে ই-মেইল করা হয়।