সরকারের ‘তোষণ নীতি’র কারণে ধর্মান্ধদের আস্ফালন: সিপিবি

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার হুমকি আসার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ‘আপস ও তোষণ নীতি’কে দায়ী করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Dec 2020, 01:59 PM
Updated : 2 Dec 2020, 02:00 PM

মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বুধবার সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে একথা বলা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, “সাম্প্রদায়িক, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ধর্মান্ধ শক্তির হুমকি ও আস্ফালন অব্যাহত আছে।

“তাদের সাথে সরকারের আপস ও তোষণ নীতির কারণে এদের সাহস ও ঔদ্ধত্ম্যপূর্ণ আচরণ বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারের দ্বিমুখী আচরণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হুমকিগ্রস্ত করেছে।”

ভাস্কর্য বিরোধিতার আড়ালে সাম্প্রদায়িক শক্তি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ‘নস্যাৎ করতে চায়’ উল্লেখ করে সিপিবি নেতারা বলেন, “তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে।”

একইসঙ্গে দেশবাসীকে এসব প্রতিক্রিয়াশীল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, “সাম্প্রদায়িক ধর্মান্ধ শক্তিকে প্রতিরোধ, পরাজিত করার লড়াই এবং ভাত-ভোট ও গণতন্ত্রের লড়াই জোরদার করতে দেশপ্রেমিক, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামতে হবে।”

আওয়ামী লীগ সরকারের দেশ পরিচালনার সমালোচনা করেছেন সিপিবি নেতারা।

১৯৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর একাত্তরের পরাজিত শক্তি যে ধারায় দেশ পরিচালনা করতে চেয়েছিল, তার ৪৯ বছর পরে আওয়ামী লীগও সেই একই ধারায় দেশ পরিচালনা করছে বলে এই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, “সাম্প্রদায়িক দ্বিজাতিতত্ত্বকে পরাজিত করার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা সংবিধানের মূল নীতি হিসেবে ঘোষিত হয়। কিন্তু গণ মানুষের সেই বিজয় ছিনতাই হয়ে যায়।

“১৯৭৫ এর নির্মম রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পরাজিত পাকিস্তানি সাম্প্রদায়িক ভাবাদর্শ, অর্থনীতি ও রাজনৈতিক ধারা পুনরায় পুনর্বাসিত হয়। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী, বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ একই ধারায় দেশ পরিচালনা করছে।”

“২২ পরিবারের জায়গায় হাজার হাজার কোটিপতির জন্ম হয়েছে। খুন, দুর্নীতি, মাদক, ধর্ষণ ও সন্ত্রাস মহামারী রূপ নিয়েছে। বেকার, বিশেষ করে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা সীমাহীন। মানুষের স্বাস্থ্য, চিকিৎসা ও খাদ্যের নিরাপত্তা নাই। ভোট ও গণতন্ত্র এখন নির্বাসনে “ বলা হয় বিবৃতিতে।