১ ডিসেম্বর ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ ঘোষণার দাবি ইনুর

মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগকে জাতির সামনে উপস্থাপনের জন্য বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের প্রথম দিন ১ ডিসেম্বরকে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবি জানিয়েছেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Dec 2020, 03:48 PM
Updated : 1 Dec 2020, 03:48 PM

মঙ্গলবার সকালে মিরপুরে মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থান ও শিখা চিরন্তনে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে তাদের মুক্তিযোদ্ধা দিবসের কর্মসূচি শুরু হয় বলে জাসদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

শিখা চিরন্তনে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, “মুক্তিযোদ্ধাদের যে বীরত্ব ও আত্মত্যাগের কথা বলার জন্য বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের প্রথম দিন ১ ডিসেম্বরকে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।

“আমরা ছুটি চাই না, আমরা চাই মুক্তিযোদ্ধা দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বাণী দেবেন, মন্ত্রীরা মুক্তিযোদ্ধাদের কবরে ফুল দেবেন এবং স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আলোচনা হবে।”

মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করছে হেফাজতে ইসলামের নেতারা।

এর প্রতিবাদ জানিয়ে জাসদ সভাপতি ইনু বলেন, “বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষও পালন হচ্ছে। আর এ শতবর্ষের ভেতরে, এ বিজয় মাসকে সামনে রেখে বাংলাদেশে কিছু রাজনৈতিক মোল্লা হঠাৎ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য এবং সব ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার হুঙ্কার ছাড়ছে, যা চক্রান্তের রাজনীতিরই অংশ।

“যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার হুমকি দিচ্ছে তারা ’৭৫ সালের বঙ্গবন্ধুর খুনি, ’৭১ সালের খুনি রাজাকারদের দোসর। তারা বঙ্গবন্ধুকে দ্বিতীয়বার হত্যা করতে চাচ্ছে। রাজনৈতিক মোল্লারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপর ছুরি চালাতে চায়।”

তিনি বলেন, “তারা বাংলাদেশের ইতিহাসকে ধামাচাপা দিতে চাচ্ছে, বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে অস্বীকার করতে চায়- তাদেরকে এ বিজয়ের মাসে গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক। পাকিস্তানের দালাল এ রাজনৈতিক মোল্লারা দেশের সংবিধান, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অস্বীকার করে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।

“এটা দেশদ্রোহের শামিল, প্রচলিত আইনের লংঘন। এদের ক্ষমা করা যায় না, এদের কোনো ছাড় নেই। অবিলম্বে এ সকল রাজনৈতিক মোল্লাদের গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।”

এ সময় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, সহ-সভাপতি সফিউদ্দিন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত রায়হান, রোকনুজ্জামান রোকন, জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নুরুন্নবী, দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, জাতীয় যুব জোটের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।