রোববার নির্বাচন কমিশন সভায় দলটির নিবন্ধন চূড়ান্তভাবে বাতিলের সিদ্ধান্ত হয় বলে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এক যুগ আগে নিবন্ধন পদ্ধতি চালুর পর তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় নবম সংসদ নির্বাচনের আগে পিডিপি গঠনের পরপরই ইসির নিবন্ধন পেয়েছিল।
সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে গঠিত এই দল ‘কিংস পার্টি’ নামে পরিচয় পেয়েছিল।
নিবন্ধনের পর বাঘ প্রতীক নিয়ে সংসদ ও স্থানীয় নির্বাচনেও অংশ নিয়েছিল দলটির প্রার্থী।
তবে ইসি তৃণমূলে যাচাই করে দলটির কেন্দ্রীয় দপ্তর এবং জেলা ও উপজেলা দপ্তরের অস্তিত্ব ও কার্যকারিতা পায়নি। তখন দলটির নিবন্ধন বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
নিবন্ধনের শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থ হওয়ায় তদন্ত-শুনানি সাপেক্ষে পিডিপির নিবন্ধন বাতিল হয়েছে বলে ইসি সচিব জানান।
তিনি বলেন, পিডিপি নিবন্ধন থাকার জন্যে শর্ত প্রতিপালন করতে পারেনি।
“দলটির বিষয়ে তদন্ত করা হয়েছে। তাদের কারণ দর্শানো নোটিস দেওয়া হয়েছে, ব্যাখ্যার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে, সতর্ক নোটিস দেওয়া হয়, শুনানিও করা হয়। সময় নিয়েও তাদের দলিলাদি পর্যালোচনা করে শর্ত পূরণ করতে পারেনি। এ জন নিবন্ধন বাতিল করা হল।”
নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন বাতিল সংক্রান্ত গেজেট করবে ইসি সচিবালয়।
পিডিপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কোরেশী গত ৩১ অগাস্ট মারা যান। তার স্ত্রী নিলুফার পান্না কোরেশী এখন দলটির দায়িত্ব নিয়েছেন।
পিডিপির নিবন্ধন বাতিলের মধ্য দিয়ে ইসির কাছে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা এখন ৪০ এ দাঁড়াল।
২০০৮ সালে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চালুর পর ২০০৯ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের পরে ফ্রিডম পার্টি, দশম সংসদের আগে ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল হয়।
একাদশ সংসদের আগে নিবন্ধন বাতিল হয় কাজী ফারুকের ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন।
দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে ইসির নিবন্ধন পাওয়া বাধ্যতামূলক। নিবন্ধনহীন দলের কেউ ভোট করতে চাইলে তাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হয়।