দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে বাংলাদেশ লেবার পার্টির উদ্যোগে শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি বলেন, “জিনিসের দাম বাড়ছে সিন্ডিকেটের কারণে। সেই সিন্ডিকেটকে সরকার ধরতে পারবে না। জিনিসপত্রের দামও তারা কমাতে পারে না। এটা কেমন সরকার, যারা জিনিসপত্রের দাম কমাতে পারে না?
“এককথায় বলা যায়, এই সরকারের অধীনে এদেশের জনগণ, নারীর জান-মাল-ইজ্জতের কোনো নিরাপত্তার নাই।”
এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে গণআন্দোলনের বিকল্প নেই উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান বলেন, “কাজ একটাই- সবাই মিলে জোট বাঁধেন, রাস্তায় আসেন। এই মানববন্ধনকে মানব মিছিলে পরিবর্তন করেন, রাজপথগুলো জনতার ঢলে ভর্তি করে দেন। সবাই মিলে বলেন, তোকে যেতে হবে, না হলে আমরা যাব না। তার প্রস্তুতি নিতে হবে আমাদেরকে।”
তিনি বলেন, “আমাদের দেশে করোনার নাতি পরবর্তি ওয়েভ শুরু হয়েছে। টিভি-রেডিওতে দেয় প্রতিদিন ৩০ জনের ওপর লোক মারা যায়, আড়াই হাজারের মতো লোক আক্রান্ত হচ্ছে। সদ্য টিআইবি বলেছে, সরকার করোনা সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলেছে। এই পর্যন্ত যারা গবেষণা করেছেন তারা, সরকারের প্রতিষ্ঠান, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, আইসিডিডিআর’বি বলেছে, ঢাকা মহানগরের শতকরা ৫০ জন লোকের করোনা হয়েছে। সরকার সেই তথ্য আমাদের কাছে দেয়নি।
“এখন বলছে-মাস্ক পরেন। কিন্তু হসপিটালে অক্সিজেন নাই। অক্সিজেন আনার কোনো ব্যবস্থা করছেন? করেননি। এবার যদি করোনা বাড়ে তাহলে হসপিটালগুলোতে রোগীরা ভর্তি হতে পারবে, সেই রকম কোনো গ্যারেন্টি নাই। তার মানে আপনি অসুখে পড়বেন ওরা আমাদেরকে তুলে নিয়ে গুম করে মেরে ফেলবে, মা-বোনের ইজ্জত নষ্ট হবে- তারপরেও সরকার কোনো প্রতিকার করতে পারবেন না, কোনো বিহিত করতে পারবে না।”
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে এই কর্মসূচিতে গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, বিএনপির হাবিবুর রহমান হাবিব, রফিক শিকদার, লেবার পার্টির ফরিদ উদ্দিন, ফারুক রহমান, হুমায়ুন কবির, খোন্দকার মিরাজুল ইসলাম,তরিকুল ইসলাম সাদী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।