স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত হচ্ছে: ফখরুল

‘স্বাধীনতার বিকৃত ইতিহাস’ সম্পর্কে জনগণ সজাগ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Nov 2020, 12:33 PM
Updated : 21 Nov 2020, 12:33 PM

শনিবার দুপুরে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ঘোষণা দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। আজকে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত হচ্ছে। সেই বিকৃত ইতিহাস সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে।

“আমাদেরকে নুইয়ে পড়লে চলবে না। ভবিষ্যত যে স্বপ্ন সেটা আলোচনার মধ্য দিয়ে এগুতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমাদের বিভিন্ন আলোচনা, বিভিন্ন প্রকশানা, বিভিন্ন ডকুমেন্টেশনের মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার এই একটা সুযোগ আমাদের অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে।”

স্বাধীনতার সূর্বণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির প্রথম এই ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। এই বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

কমিটির আহ্বায়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে এই বৈঠকে কীভাবে স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী বছরব্যাপী করা যায় তার কর্মকৌশল ও প্রস্তাবিত কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বৈঠকে জাতীয় কমিটির বাইরে একটি স্টিয়ারিং কমিটি এবং অর্থ, সেমিনার-সিম্পুজিয়াম, ব্যবস্থাপনা, দফতর, প্রচার, প্রকাশনা, সাংস্কৃতিক ও মিডিয়া সহ বিভিন্ন উপকমিটি গঠনের বিষয়ে নিয়েও আলোচনা হয়।

মুক্তিযুদ্ধের সূর্বণজয়ন্তী উপলক্ষে বিষয়ভিত্তিক প্রকাশনা, পোস্টার ও লিফলেট প্রকাশও করবে বিএনপি।

স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালামের পরিচালনায় বৈঠকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা মওদুদ আহমদ. জমির উদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, আবদুল্লাহ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, বরকতউল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা আমানউল্লাহ আমান, মনিরুল হক চৌধুরী, মিজানুর রহমান মিনু, মামুন আহমেদ, মাহবুবউদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, ফজলুল হক মিলন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বিলকিস জাহান শিরিন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মাহবুবে রহমান শামীম, শ্যামা ওবায়েদ, শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, আজিজুল বারী হেলাল, মহিদুর রহমান, জয়নাল আবেদীন, আশরাফ হোসেন উজ্জ্বল, গৌতম চক্রবর্তী, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আনোয়ার হোসেন খোকন, আরিফুল হক চৌধুরী, অঙ্গসংগঠনের মধ্যে মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, যুব দলের সাইফুল আলম নিরব, মহানগর উত্তর বিএনপির মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান প্রমূখ নেতারা বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।