বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে থাকাদের খুঁজতে কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া চলছে: আইনমন্ত্রী

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী একথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার চার বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।

একদল সেনা কর্মকর্তা এই হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দিলেও এর পেছনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের কথা আওয়ামী লীগ নেতারা বরাবরই বলে আসছেন।

খুনিদের বিচার হলেও নেপথ্য ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সম্প্রতি প্রস্তাব দেয়।

১৫ অগাস্ট হত্যাকাণ্ড তদন্তে জাতীয় কমিশন গঠনের প্রস্তাব সংসদীয় কমিটির  

সংরক্ষিত আসনের মনিরা সুলতানা প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক সংসদে বলেন, “বঙ্গবন্ধুর খুনের সাথে জড়িত দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারী নেপথ্য নায়কদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন করা হবে।

“ইতোমধ্যে কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। কমিশন কাদের নিয়ে কীভাবে গঠিত হবে, কমিশনের কাজের পরিধি কী হবে, ইত্যাদি নির্ধারণে সংশ্লিষ্টরা কাজ করে যাচ্ছে।”

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পেছনের কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচনে একটি জাতীয় কমিশন গঠন করা হবে বলে গত ১ সেপ্টেম্বর জানিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী। তারপর এই প্রথম এ বিষয়ে অগ্রগতিরর তথ্য দিলেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচনে কমিশন হবে: আইনমন্ত্রী  

বঙ্গবন্ধু হত্যার মামলার রায়ের প্রসঙ্গ টেনে মামলা পরিচালনায় যুক্ত আনিসুল হক বলেন, “সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে প্রচলিত আইনে এবং প্রচলিত আদালতেই হত্যাকারীদের বিচারের ব্যবস্থা করা হয়। বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে হত্যাকারীদের সাজা ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে।

“তবে এখনো যেসব খূনি বিভিন্ন দেশে পালিয়ে এবং আশ্রয় গ্রহণ করে আছে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।”

৭৫ হাজার জনকে নিয়োগের সুপারিশ পিএসসির

বর্তমান সরকারের আমলে সরকারি কর্মকমিশন (বিপিএসসি) বিসিএস ক্যাডার পদেসহ দ্বিতীয় ও তদূর্ধ শ্রেণিতে মোট ৭৪ হাজার ৮৭৮ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে।

ভোলা-২ আসনের আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত ২৮তম থেকে ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষায় ৩৫ হাজার ৬০৩ জন প্রার্থীকে ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া প্রথম শ্রেণির ননক্যাডার পরে চার হাজার ২৫ জন, দ্বিতীয় শ্রেণির (১০তম, ১১তম ও ১২তম গ্রেড) পদে ৫ হাজার ৭৫৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ৯ম তদূর্ধ এবং ১০ গ্রেডের বিভিন্ন ননক্যাডার পদে ৩২ হাজার ৪৯৬ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে।

ঢাকা চিড়িয়াখানায় মোট প্রাণী ২৭২২টি

সরকারি দলের এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানান, বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ১৩৩ প্রজাতির প্রাণী, পাখি ও দৃষ্টিনন্দন এক্যুরিয়াম ফিস রয়েছে। এর মোট সংখ্যা দুই হাজার ৭২২টি।

মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী চিড়িয়াখানায় ১৭ প্রজাতির ৩৮২টি বৃহৎ প্রাণী (তৃণভোজী), ১১ প্রজাতির ৩৬টি মাংসাশী, ১৩ প্রজাতির ১৫২টি ক্ষুদ্র স্তন্যপায়ী, ৯ প্রজাতির ৬৯টি সরীসৃপ প্রাণী, ৫৭ প্রজাতির ১১৩৭টি পাখি এবং ২৬ প্রজাতির ৯৪৬টি একুরিয়াম ফিস রয়েছে।